মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্ববল সেই বাবার পাশে এমপি দিদার

 চট্টগ্রামঃ ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড়ে এক মর্মান্তুিক দূর্ঘটনায় কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্ববল সেই পিতা মোঃ ফারুকের পাশে দাঁড়িয়েছে সীতাকুণ্ডের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। ২৬ জুলাই মঙ্গলবার সকালে নিহত কলেজ শিক্ষার্থী ফাতেমা জাহান জেবাদের কালুশাহ নগরের ফৌজদার বাড়িতে যান তিনি। এসময় জেবা’র পিতা মোঃ ফারুকসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দেখা করে তাদের সমবেদনা জানান দিদারুল আলম। এসময় উভয়ের আলোচনায় ওঠে আসে বায়েজিদ লিংক রোড় সমসাময়িক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন দূর্ঘটনার ভয়াবহতা। কিভাবে চোখের সামনে নিজের মেয়েকে হারিয়েছেন মোঃ ফারুক সেই গল্প সংসদ সদস্যকে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এসময় নিহত জেবা’র পিতা মোঃ ফারুক ভারি বর্ষণে যেন বায়েজিদ লিংক রোড়ে পাহাড় ধ্বসে না পড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানান। তিনি বলেন, আমি আমার মেয়েকে হারিয়েছি একমাত্র এ পাহাড়ের ধ্বসে পড়া মাটিগুলোর কারণে। কেননা সেদিন সড়কে পাহাড়ের মাটি গড়িয়ে না পড়লে আমি কখনোই সেখানে থামতাম না। থামতে গিয়ে দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। আর কাভার্ডভ্যান চালক অসতর্কভাবে তাকে (ফাতেহা জাহান জেবা) পিষে দিয়েছে। আমি চোখের সামনেই নিজের কলিজা টুকরো মেয়েকে হারালাম।

এসময় তার সঙ্গে সহমত পোষণ করে সংসদ সদস্য দিদারুল আলম বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে জোরালোভাবে কথা বলার অঙ্গিকার করেন। প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই দুপুর দুইটায় মেয়েকে নিয়ে এনায়েত বাজার কলেজ থেকে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট-বায়েজিদ লিংক রোড় হয়ে মোটরসাইকেল যোগে সীতাকুণ্ডের কালুশাহ এলাকার বাড়িতে ফিরছিলেন সনি র‌্যাংস লালখান বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ ফারুক৷ পথে ৩ নং ব্রিজ এলাকায় পাহাড় ধ্বসে পড়লে মোঃ ফারুক মোটরসাইকেল নিয়ে পিছলে পড়ে যান।

এসময় মেয়ে ছিটকে সড়কে পড়ে। মেয়েকে টেনে তোলার আগেই একটি দ্রুতগামী কাভার্ডভ্যান এসে তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হৃদয় বিদারক এ ঘটনা সকলের মনে নাড়া দেয়।