সিএনজি চলে এলপি গ্যাস সিলিন্ডার” ভাড়াতো বেশী দিবেন !!

মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলা ও সরাইল উপজেলার অংশে ঢাকা- সিলেট মহা- সড়ক ও কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের কিছু অংশ।যা দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘ দিনের। এ হাইওয়ে রাস্তায় বাস থেকে শুরু করে প্রায় সব রকমের যানবাহন চলাচল করে। সরাইল উপজেলা কুট্রাপাড়া খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা রয়েছে। সদর উপজেলা ও সরাইল উপজেলার মধ্যে খানে বিশ্বরোড়ের চৌরাস্তা। এর একপাশে আছে ঢাকা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাস- কুমিল্লা- সিলেট বাসও ব্রাহ্মণবাড়িয়া- সিলেট বাস কাউন্টার। যাত্রী আনা নেওয়া করতে আছে প্রাইভেট কার মাইক্রো বিভিন্ন যানবাহন।এ এলাকার মানুষ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাতে-দিনে বিশ্ব রোড়ে যাত্রী নামাইয়া দেয় যে কোন যাত্রী বাহি গাড়ি থেকে। সেই সুবাদে ঢাকা থেকে রেলগাড়িতে ভৈরব আসলে। ভৈরব বাস স্ট্যান্ড থেকে বিশ্বরোড় আসতে হয়।নামতে দেখি সিএনজি আছে সারি সারি আর ডাকছে কোথায় যাবেন। শাহবাজপুর মৈন্দ -নাসির নগর- অরুয়াইল- সরাইল- চুন্টা- আবার বলে কালিকচ্ছ না ধরন্তী। আবার অটোরিকশা গুলো কিন্তু আরো বেশী। বলে ভাই সিএনজির আগে যামুগা অ্যাইন। সিএনজি চালককে বলাম, সরাইল ভাড়া কতো সে বলে বিশ টাকা। কেন ভাই চালক দশ টাকার ভাড়া বিশ টাকা। চালক বলে আরে ভাই গ্যাস বন্ধ তাই সিএনজি যেতে হলে ভাড়া বেশী দিবেন।এদিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়,সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছেন চালকরা।

রোববার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ব্রাহ্মণ বাড়িয়ায় গ্যাস সরবরাহ না থাকার অজুহাতে ভাড়া বাড়িয়েছেন তারা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে ভারতের আগরতলা চার লেন সড়কের উন্নতীকরণের প্রকল্পের ইউটিলিটি সিফটিংয়ের আওতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটুরা থেকে পুনিয়াউট নতুন বাইপাস মহাসড়ক পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইনের কমিশনিং কাজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে। এজন্য তিনদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও সরাইল এলাকার আবাসিক এবং বাণিজ্যিক উভয় গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এতে সিএনজি পাম্পগুলো বন্ধ থাকায় অটোরিকশার ভাড়া দ্বিগুণ নিচ্ছেন চালকরা। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

সকালে বিশ্বরোড়ে গেলে আব্দুল হামিদ মিয়া বলেন, আমার মেয়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য সকালে যেতে হয়েছে।সরাইল থেকে জেলার কুমার শীল পর্যন্ত সিএনজিচালক ভাড়া চাইলেন ১১০ টাকা। যেখানে নিয়মিত ভাড়া ৬০ টাকা। ভাড়া বেশীর কথা বলতেই চালক বললেন, পাম্পের হেরা এ ভাড়া বেশি নিতেছে। সিএনজি পাম্পে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। যারা গ্যাস দিতেছে তাদের কাছ থেকে বেশী মূল্যে কিনতে হচ্ছে। সিএনজি চালক সুমন বলেন, গ্যাস বন্ধ গাড়িতে মালিক এলপি গ্যাসের স্যালেন্ডার লাগিয়েছে। তাই ভাড়া বেশী নিতে হচ্ছে।

অরুয়াইলের ভাড়া আগে কতো ছিল জানতে চাইলে চালক বলেন, আগে ৪০ টাকা বা ৫০ টাকা এখন ৮০ টাকা করে নিতেছি। সরাইল সদরের জামাল মিয়া বলেন, আজ সকালে পাকশিমুলে যাওয়া আসার ভাড়া সিএনজি ৮ শত টাকা নিয়েছে। গ্যাসের অজুহাতে ভাড়া এখন দুই গুণের ওবেশি।

এ ব্যপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) সুখেন্দ্র বসু বলেন, নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া বেশী ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ ধরনের অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেব। যাত্রীর কাছ থেকে বেশি ভাড়া নিতে পারবেনা।