সিএমপির কোতোয়ালি থানার অভিযানঃ সিএনজি ছিনতাই চক্রের ২ জন গ্রেফতার এবং ছিনতাইকৃত ৩টি সিএনজি উদ্ধার

সময়ের নিউজ ডেস্কঃ গত ইং ২১/০৬/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ২১.৪০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আব্দুল মন্নান প্রকাশ মান্নান(৫০)তার সিএনজি গাড়ী নিয়ে কোতোয়ালী থানাধীন হোসেন শহীদ সহরাওয়ার্দী রোডস্থ হোটেল ক্যাফে জামানের সামনে আসলে অজ্ঞাতনামা ০২ জন ব্যাক্তি তার গাড়ী ভাড়া নিয়ে কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জ্যার টেক মোড়ে যায় এবং সিএনজি ড্রাইভারের সাথে সুসম্পর্ক ও বিশ্বস্ততা তৈরী করে সিএনজি ড্রাইভারকে চায়ের সাথে চেতনানাশক ঔষধ পান করিয়ে অজ্ঞান করে তার সাথে থাকা সিএনজি গাড়ী ও গাড়ীর কাগজপত্র নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

উক্তরূপ ঘটনা প্রতিরোধকল্পে, চুরি,ছিনতাই, ডাকাতি রোধসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনের ন্যায় চেক পোষ্ট ডিউটি করাকালে ইং ০১/০৮/২০২২ তারিখ ১৫.০০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন ফিরিঙ্গীবাজার মোড়ে চেকপোষ্ট তল্লাশী পরিচালানার সময় কোতোয়ালী মোড়ের দিক হতে একটি সিএনজি গাড়ী দ্রুত গতিতে চেকপোষ্টর দিকে আসলে সিএনজিকে দাঁড়ানোর জন্য পুলিশ সংকেত দেয়। সিএনজি ড্রাইভার পুলিশের সংকেত উপেক্ষা করে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে গেলে পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ ধাওয়া করে সিএনজি ড্রাইভার মোঃ রায়হান (২৯)কে সিএনজিসহ আটক করে।

সিএনজি ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় যে, উক্ত সিএনজি গাড়ীটি চোরাই সিএনজি গাড়ী। সে গাড়িটি নিয়ে লোহাগাড়া থানার চরম্বা এলাকার দিকে যাচ্ছে এবং আরো সিএনজি চোরাই গাড়ী সংক্রান্তে বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানাধীন চরম্বা এলাকা হইতে ইং০১/০৮/২০২২ তারিখ ১৮.১০ ঘটিকায় তার সঙ্গীয় রবিউল হোসেন রমিজ (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রবিউল হোসেন রমিজের নিকট থাকা চোরাই সিএনজি গাড়ীটি সে লোহাগাড়া থানাধীন চরম্বা তেলেবিলা গ্রামের খন্দকার পাড়া মসজিদ মুড়া কবরস্থান সংলগ্ন পাহাড়ের পাশে একটি গভীর পুকুরে ডুবিয়ে রেখেছে। পরবর্তীতে ইং ০১/০৮/২০২২ তারিখ ১৯.৩০ ঘটিকার সময় গভীর পুকুর থেকে আরো একটি চোরাই/ছিনতাইকৃত সিএনজি গাড়ী উদ্ধার করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় লোহাগাড়া থানাধীন চরম্বা টংকাবতী এলাকা হতে কোতোয়ালী থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হওয়া ছিনতাইকৃত সিএনজিটি ইং ০২/০৮/২০২২ তারিখ ভোর ০৪.১৫ ঘটিকার সময় উদ্ধার করা হয়।

অপরাধ প্রক্রিয়াঃ আসামীরা প্রথমে তাদের টার্গেট ঠিক করে। তারপর তারা তাদের সুবিধামত জায়গা হলে সিএনজি ছিনতাই/চুরি করে। আর না হয় যাত্রীবেশে সিএনজিতে উঠে তারা তাদের সুবিধামত জায়গায় নিয়ে গিয়ে সিএনজি ছিনতাই/চুরি করে। আসামীরা সংঘবদ্ধ সিএনজি চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তাহারা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে সিএনজি ড্রাইভারকে টার্গেট করে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করিয়ে এমনকি সিএনজি ড্রাইভারকে অজ্ঞান করার জন্য স্প্রে প্রয়োগ করে অজ্ঞান করত সিএনজি ছিনতাই করে থাকে।