
ফারহান সিদ্দিক : ঘন্টার পর ঘন্টা বাইরে দাঁড়িয়েই সেবা নিতে হচ্ছে সীতাকুণ্ডে উপজেলা পোষ্ট অফিসে। কেউ জানালা ধরে দাঁড়িয়ে আছে,কেউবা তীব্র গরমে হাঁপিয়ে উঠে মাটিতেই বসে পড়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্ব-স্ব টেবিলে বসে বিদ্যুৎতের আলো ও ফ্যানের বাতাসে আয়েশে অফিস করলেও সেবাপ্রার্থীদের বসার জন্য নেই কোন নিদিষ্ট আসন। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বৃদ্ধ নারী-পুরুষসহ পোস্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সেবাপ্রার্থীদের। ৩ আগস্ট সকাল দশটায় সীতাকুণ্ড উপজেলা পোস্ট অফিসে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পোস্ট অফিসে অসংখ্য নারী-পুরুষ সেবাপ্রার্থীদের ভিড়। কেউ দাঁড়িয়ে আছে, কেউ হাঁট-চলা করছে, নেই কোন বসার স্থান, সেবাপ্রার্থীরা টাকা জমা ও উত্তোলন করছে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে। এসময় সেবাপ্রার্থীদের চোখে-মুখে বিরক্তির চাপ।
দীর্ঘক্ষণ বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা দক্ষিণ রহমত নগরের বাসিন্দা আকলিমা আক্তার বলেন, প্রতিমাসে পোস্ট অফিসে আসলে এমন দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে টাকা উত্তোলন করতে হয়। এ অফিসে বসার কোন ব্যবস্থা নেই। আমরা দাঁড়িয়ে এভাবেই টাকা তুলতে হয়। অভিযোগ, সীতাকুণ্ড পোস্ট অফিসে বিভিন্ন মেয়াদী সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলনে দিতে হয় ২-৩ হাজার টাকা। অন্যথায় তারল্য সংকটের অজুহাতে করা হয় হয়রানি ।
সঞ্চয়পত্রের টাকা উত্তোলন করতে আসা নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নারী বলেন সঞ্চয়পত্র ভাঙ্গাতে আসলে তারা চা-নাস্তার কথা বলে টাকা দাবি। টাকা না দিলে আজ-কাল, তারল্য সংকটসহ নানা অজুহাতে কালক্ষেপণ করে থাকে। নিজের কষ্টে জমাকৃৃত টাকা উত্তোলনের সময় এমন ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার কথা বলতে বলতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
সীতাকুণ্ড পোস্ট অফিসে সেবাপ্রর্থীদের এমন দূর্ভোগের কথা স্বীকার করে পোস্ট মাস্টার গিয়াস উদ্দীন বলেন আমরা নিজেরাও বসতে পারিনা জায়গার সংকুলনের কারণে,সেবাপ্রর্থীদের বসার স্থান দিবো কি ভাবে । এই সময় টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলপাল্টিয়ে ফেলে তড়িঘরি করে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন তিনি ।