হাটহাজারীতে ওয়াগানের নিচে কাটা পড়ে শিশু শিক্ষার্থী নিহত

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: হাটহাজারী চলন্ত ওয়াগানের নিচে পড়ে মো.শাহাদাত হোসেন (৬) নামের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।মঙ্গলবার(৯আগষ্ট)দুপুর দেড়টার দিকে তেলবাহী ৬০১০৩ নং ওয়াগানের নিচে পড়ে এ দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই শিশু শিক্ষার্থী মারা যায়। এসময় স্থানীয় কয়েকশত উৎসুক জনতা উপস্থিত হয়ে তেলবাহী ওয়াগান আটক করে। উত্তেজিত হয়ে জনগন রেল স্টেশনের জানালার কাচ ভাংচুর করে।মুহুর্তেই সংবাদ পেয়ে মডেল থানার ওসি রুহুল আমিন সবুজ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে প্রেরন করেছে।

নিহত শাহাদাত হোসেন সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ থানার ভূইয়াপট্টি গ্রামের মোঃজসিমের পুত্র।স্ব-পরিবার হাটহাজারী পৌরসভার আলীপুর চৌধুরী কলোনীতে ভাড়া বাসায় থাকে ও শাহাদাত স্থানীয় আরাবিয়া ইসলামিয়া তালীমুল কুরআন নুরানী মাদরাসার প্রথম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে তেলবাহী একটি ওয়াগান নাজিরহাট স্টেশনের দিকে যাচ্ছিল। হাটহাজারী রেল স্টেশনর পৌছলে মাদরাসার শিক্ষার্থী পারাপার হচ্ছিল। এমন অবস্থায় ৬০১০৩ নং ওয়াগানের নিচে পড়ে শিশুটির গলা কেটে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।স্থানীয়দের অভিযোগ প্রতিদিন ট্রেন চলাচল করলেও সেখানে কোন গেটম্যান বা বেরিয়ার না থাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এসময় সংবাদ পেয়ে রেলওয়ে সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমদ,হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃশাহাদাত হোসেন,রেলওয়ে ওসি মোঃ নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

হাটহাজারী রেলওয়ে স্টেশন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান,ঘটনার সময় আমি ছিলাম না।আমার আজকে ডিউটি নেই।রেল লাইন দিয়ে মানুষ যাতায়াত সম্পূর্ণ অবৈধ। রেল লাইন ১৪৪ধারা জারি থাকে।আমরা প্রত্যেকদিন রেল আসলে ছেলেমেয়েদের সরিয়ে দিই দিনে ৪/৫বার।তবে আজকে কেন সরিয়ে দেয়নি জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় এ কর্মকর্তা।উক্তেজিত জনতা স্টেশনের জানালার কিছু অংশ ভাংচুরের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ব্যবস্থা নিবে বলেও তিনি জানান।