সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যনগর গ্রামের মৃত মাঈন উদ্দিনের মেয়ে মিতানুর রহমান মিতা, শহিদ মিয়া নামের কলংকীত স্বামীকে এফিডেভিট করে তালাক সংক্রান্ত নোটারীর অফিসের স্বাক্ষরিত রেজিস্ট্রার কপি গত ৭ আগস্ট ২০২২ ইং তারিখে তালাক প্রাপ্ত স্বামী শহিদ মিয়ার বরাবর পাঠানো হয়েছে। জানা যায় প্রায় দেড় বছর আগে মিতানুর রহমান মিতা তার স্বামী দুই সন্তানের বাবা শহিদ মিয়া পরকীয়ার কেলেংকারির খবর পাশ হয়।
একপর্যায়ে মিতানুর রহমান মিতা জানতে পেরে ও স্বামী শহিদ মিয়াকে পরকীয়া অপরাধ থেকে সরে আসার জন্য অনুরোধ বা প্রতিবাদ করলে, পাষাণ স্বামী তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে, তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় এবং ভুক্তভোগীর অভিযোগ রয়েছে যে, একপর্যায়ে স্বামী শহিদ মিয়া পথের কাটা সরাতে জোরপূর্বক মিতানুরকে বিষ খাওয়ানো হয়। পরে আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা করে সুস্থ হয় এবং এর প্রেক্ষিতে মিতানুর রহমান মিতা স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও বিষ প্রোয়গের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত অভিযোক্ত শহিদ মিয়াকে জেল হাজতে আটক করে, মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে। নারী পিয়াসু শহিদ মিয়া জেল থেকে জামিনে এসে একই এলাকার পরকীয়া নারী দুই সন্তানের জননী শামীমা আক্তার এমিকে নিয়া পালিয়ে যায় ও তার ওরতজাত দুই সন্তানের বরনপোষণ বা স্ত্রী মিতানুর রহমান মিতার অদ্যবদী কোন খোঁজ খবর নেয়নি।
এ অবস্থায় অসহায় মিতানুর রহমান মিতা তার স্বামীর অনৈতিক কার্যকলাপে বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে নোটারী পাবলিকের স্বাক্ষরিত এফিডেভিট করে তালাক দেয়।