অযত্ন-অবহেলায় অরক্ষিত মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় শহীদ মিনার

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটি অযন্তে অবহেলায় পড়ে আছে।শুধুমাত্র দিবসগুলোতে কিছুটা যত্ন নিলেও অন্যদিনগুলো এভাবেই অযন্তে অবহেলায় পড়ে থাকে লাখো শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর এ শহীদ মিনারটি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কারো চোখে পড়েনা।শুধুমাত্র দিবসগুলোতেই নামে মাত্র উপযোগী করে তুলা হয় বলে স্থানীয় অনেকেরই অভিযোগ।বিদ্যালয়ের ১ একর.০৮ পরিমাণ জায়গা থাকা সত্বেও কেন শহীদ মিনারটি বিদ্যালয় ভবনের একপাশে সওজের ছোট্ট একটি জায়গাতে এ ভাবে কাঁদামাটিতে অবহেলায় পড়ে থাকবে?কেনই বা সড়ক বিভাগের জায়গাতে নির্মাণ করা হল।১৯৪৫সনে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি ৭৭ বছর পার হলেও ভবন নির্মাণ বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও শহীদ মিনারটি এভাবেই অবেহেলায় পড়ে আছে। দ্রুত এটি সংস্কার করে সেখান থেকে সরিয়ে বিশাল এরিয়ার কোন এক স্থানে  নির্মাণ করা হয় যেন মহাসড়কের পাশে সকলেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে এমনি দাবি শত শত ছাত্র-ছাত্রী সহ স্থানীয়দের।
জানা যায়, মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট বাজার সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ১৯ শত ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করে, যদিও সরকারি আদেশ অনুযায়ী প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার থাকা বাধ্যতামূলক। ২১ ফেব্রুয়ারী সহ অন্যান্য দিবসেও ছাত্রছাত্রীরা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।বিশাল এরিয়ার জায়গা থাকা সত্বেও কেন বিদ্যালয় ভবন ঘেঁষে ছোট্ট করে শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হয় এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মাঝেও ক্ষোভ প্রকাশ করে।এরাও চাই শহীদ মিনারটি বড় একটি খোলা মেলা জায়গায় নির্মাণ করা হোক।বর্ষার মৌসুমে কাঁদামাটি আর দিবস ছাড়া নোংরা পরিবেশে শহীদ মিনারটি পড়ে থাকে । অন্যদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় বহিরাগ লোকজন এসে জুতা পায়ে সেখানে আড্ডা গল্পে নিয়োজিত থাকে।যার কারনে শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। যেন কেউ দেখেও দেখেনা।
এ বিষয়ে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান জানান, শহীদ মিনারটি বিদ্যালয়ের জায়গাতে নির্মাণ করা হয়নি,এটা সওজের জায়গায়,অনেক আগে বিদ্যালয় কমিটির সদস্যরা এখানে নির্মাণ করেছিল।ময়লা আবর্জনা হয়ে থাকে সওজের রাস্তার জন্য গেইট ভেঙ্গে ফেলার কারনে।তবে একটি বাজেট আসলে নতুন করে আরেকটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে। তবে এখন কেন শহীদ মিনারটি অবেহেলায় ময়লা আবর্জনা সহ কাঁদামাটিতে পবিত্রটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে দীর্ঘদিন শিক্ষা অফিসার না থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।তবে মাধ্যমিক একাডেমিক  সুপার ভাইজার মোঃমুসলিম উদ্দিন জানান,শহীদ মিনারটি অবেহেলিত বা ময়লা আবর্জনার স্তুপ বিষয়টি আমরা অবগত নয়,আজকেই প্রথমে জানতে পেরেছি।বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেব এবং সংস্কার বা জায়গা নির্ধারণ করে পুনঃ নির্মাণের জন্য দ্রুত চেষ্টা করব।