
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গভীর সমুদ্রে এবং বাঁশখালীতে ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে সাম্প্রতিক কালে বঙ্গোপসাগরে ১৬ টি জেলে নৌকা ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ১২ জন জলদস্যুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। এসময় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র, তিন হাজার পিসের অধিক ডাকাতিককৃত ইলিশ মাছ, বিপুল পরিমাণ মাছ ধরার জাল ও ডাকাতের কাজে ব্যবহৃত নৌকা জব্দ করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, জলদস্যু বহনকারী ১টি বোট কর্তৃক সাগরে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করা হচ্ছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ, পিএসসি, অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম মহোদয়ের নেতৃত্বে ২টি চৌকষ আভিযানিক দল ও র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দলের সমন্বয়ে গভীর সমুদ্রে গত ০৮ সেপ্টেম্বর হতে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধাশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে করে দস্যুতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ১২ জন জলদস্যুকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত আসামীরা হলোঃ আনোয়ার, লিয়াকত (মাঝি), মনির, আবুল খায়ের (ইঞ্জিন ড্রাইভার), নবীর হোসেন, নেজামউদ্দিন, হুমায়ুন, সাহেদ, সাদ্দাম, আতিক, এমরান ও আমানউল্লাহ।
পরবর্তীতে আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ তারা সমূদ্রে বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তাদের হেফাজত থেকে ০১টি বোট, আনুমানিক ৩,০০০ পিস ইলিশ মাছ, মাছ ধরার রড় জাল, ০৩টি ওয়ান শুটারগান, ০১টি চাইনিজ কুড়াল, ১৬টি দা ও ছুরি, ০১টি বাইনোকুলার, ০৪টি টর্চ লাইট, ০২টি চার্জ লাইট, ০২টি হ্যান্ড মাইক, ৭০ টি মোবাইল, নগদ ৫,৭০০ টাকা উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ জানা যায়, পূর্বে তারা বোট নিয়ে সাগরে গিয়ে অল্প পরিমান মাছ পায় ফলে বোটের মালিক আনছার মেম্বার বোটের সদস্যদের কোন টাকা-পয়সা না দিয়ে তাদের আদেশ প্রদান করে যে, মাছ ধরতে না পারলে ডাকাতি করে মাছ নিয়ে আসতে হবে। আনছার মেম্বার ও তার দলের মূল্য উদ্দেশ্য ছিল অল্প পরিশ্রমে অধিক মুনাফা লাভ করা। এর জন্যই নিজের সন্তানকে ডাকাত সর্দার বানিয়ে বোট ডাকাতি করার জন্য সাগরে প্রেরন করে। এছাড়াও আটককৃত আসামীদের নিজ মূখে স্বীকারোক্তি মতে, তারা পূর্বের ৯টি এবং বর্তমানে ৭টিসহ সর্বমোট ১৬টি বোট ডাকাতি করেছে বলে জানায়।
উল্লেখ্য, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত ০১নং আসামী আনোয়ার এর নামে ০৩ টি সহ প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধেই চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানায় জলদস্যূতা, সস্ত্রাসী, ডাকাতি, দুর্ধষ চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা এবং অপহরণকারী সংক্রান্তে একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।