প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব

সময়ের নিউজ ডেস্ক:  প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে প্রতিবছরের মতো এবারও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মহানগরীর প্রায় দেড় শতাধিক মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে বলে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান। প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার মধ্যে যাতে বঙ্গোপসাগরে সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে পূজারীগণ প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারেন সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আলোকবাতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা, মঞ্চ নির্মাণ, মাইকিং, পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। অত্যন্ত নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুপুর থেকেই পূজারী ও ভক্তরা শ্রদ্ধার সাথে তাদের প্রতিমা নিরঞ্জন দেবার জন্য গাড়ীতে করে প্রতিমা নিয়ে আসেন।

এলাকায় হাজার হাজার ভক্ত ও পূজারীর উপস্থিতিতে কোথাও তিল মাত্র ঠাঁই ছিল না। সুন্দর পরিবেশে সুশৃংখলভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পেরে পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং হাজার হাজার পূজার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি যৌথ উদ্যোগে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির অন্যতম পাদপীঠ।

এই নগরীতে জাতিগত কোন ভেদাভেদ নেই। এই শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তি-শৃংখলার সাথে সম্পন্ন হওয়া তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য। অঞ্জন দত্তের সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে প্যানেল মেয়র প্যনেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, ড. নিছার উদ্দিন আহম্মদ মঞ্জু, জিয়াউল হক সুমন, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, এড. চন্দন তালুকদার, অর্পণ কান্তি ব্যানার্জী, সুজন কুমার শীল, উত্তম শীল, সুমন দেবনাথ, ওয়াহিদুল আলম মাষ্টার বক্তব্য রাখেন। আরো উপস্থিত ছিলেন-মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, উপপুলিশ কমিশনার বন্দর শাকিল আহমদ, চসিক উপসচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল বারী ভূইয়া, আশিকুল ইসলাম প্রমুখ।