
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ২৪ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখ ভূক্তভোগী নাইট শিফটের কাজ শেষে মার্স টেক্সটাইল ফ্যাক্টরী হতে ফ্যাক্টরীরর নিজস্ব গাড়ীতে করে বাঁশবাড়ীয়া বাজারে এসে নামে। বাজার হতে পায়ে হেটে তার বাবার বাড়ীতে যাওয়ার পথে মোঃ আব্দুল আলী লিংকন ভূক্তভোগীকে তার বাড়ীতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে জোরপূর্বকভাবে তার সাথে থাকা প্রাইভেটকারে উঠায়। পরবর্তীতে ভূক্তভোগীকে তার বাড়ীতে না নিয়ে তাকে জোরপূর্বক বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালিয়াকুল বসুন্ধারা পজেক্টে নিয়ে যায়। উক্ত স্থানে ১। লিংকন, ২। মোঃ হান্নান এবং ৩। মোঃ জাহিদ ভূক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। উক্ত বিষয়ে গত ২৫ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখ চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং- ৪১, তারিখ- ২৫ নভেম্বর ২০২১, ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(৩)। ঘটনাটি উক্ত এলাকায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরই ধারাবাহিকতা র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ধর্ষনকারীদের গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালায়। গোয়েন্দা নজরদারির একপর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, ধর্ষণকারী চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানাধীন বোয়ারিয়াকুল এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ০১২০ ঘটকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গনধর্ষণকারী আসামী মোঃ আব্দুল আলীম লিংকন (৩২), পিতা- মৃত খাইরুল বশর, সাং- বাঁশবাড়িয়া, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড থানায় ০৪ টি মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য যে, গত ২৬ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখ উক্ত মামলার ২য় আসামী মোঃ হান্নান (৩২), পিতা- নুর মিয়া, সাং- ঘোড়ামারা, থানা- সীতাকুন্ড, জেলা-চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কর্তৃক গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।