
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ পিপিএম বলেছেন, পরিবহনের চালক ও শ্রমিক দেশের সকল উন্নয়নের চালিকা শক্তি। একটি দুর্ঘটনা সারাজীবনের কান্না। সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুবরণ তা কখনো আমাদের কখনো কাম্য নয়। পরিবারের সদস্যদের ভরন-পোষণ ও তাদের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য তারা ড্রাইভিং পেশায় এসেছেন। সড়কে গাড়ি চালানোর সময় চালক- শ্রমিকদেরকে প্রতিনিয়ত চরম ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয়। দুর্ঘটনা রোধে সড়ক পরিবহন আইন ও ট্রাফিক সাইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে। সড়কে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব, ওভার টেকিং, ওভার লোড, ওভার স্পিড ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে। তাই সকলের জীবনের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে গাড়ি চালাতে হবে। চালক, যাত্রী, স্কুল শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ সকলে সচেতন থাকলে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস পাবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারস্থ মেঘনা কনভেনশন সেন্টারে সিএমপির ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগ আয়োজিত ‘সড়ক নিরাপত্তা, সড়কে শৃঙ্খলা ও
ট্রাফিক নিয়মাবলী বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ট্রাফিক পক্ষ-২০২৩ এর শুভ উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ হয়েছে, এদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু ও মেট্টোরেল হয়েছে, কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মেঘা ও বড়- ছোট উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দৃশ্যমান হচ্ছে। সকলের সহযোগিতায় সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, সড়ক পরিবহনের সাথে জড়িত কাউকে হয়রানি করা, জরিমানা ও গাড়ি টো করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। পরিবহনের চালক-শ্রমিক যখন সড়ক পরিবহন আইন অমান্য করে বা রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে যানজট সৃষ্টি হয় ঠিক তখনই আইন প্রয়োগ করতে হয়। শাস্তি বা জরিমানার ভয় থাকলে চালকেরা আইন মেনে গাড়ি চালাবে। এতে করে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিন বলেন, পুলিশের একার পক্ষে যানজট নিরসন, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। আবার দুর্ঘটনার জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপারদের দায়ী করলে হবেনা। যিনি গাড়ির মালিক তাকে এবং পথচারীদেরকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। সড়কে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার আগে ইঞ্জিন, ইঞ্জিন ওয়েল, ব্রেক, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ ঠিক আছে কি না তা নিশ্চিত হতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। দুর্ঘটনা এড়াতে পথচারীদেরকেও ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হবে।
সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এন.এম নাসিরুদ্দিনের সভাপতিত্বে ও টিআই (প্রশাসন) অনিল বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ট্রাফিক
পক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, মেট্টোপলিটন মালিক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের (কোতোয়ালী) সভাপতি জাহেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জানে আলম। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।