সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোটি  টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মো.তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) :  সরাইলে আব্দুস সাত্তার ভূঞা ডিগ্রী কলেজের উন্নয়নের অর্থ, পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি দপ্তর থেকে আসা অনুদানের টাকা  আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের বিষয়ে গত শনিবার (২৫ মার্চ) বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট (সরাইল) আদালতে অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন কলেজটির আজীবন দাতা সদস্য হাজী আবু তালেব। মামলাটি তদন্তের জন্য সরাইল থানার পরিদর্শককে (তদন্ত) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাবেক অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমান ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজের অনুদানের সকল টাকা তার কাছে জমা রাখতেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজের সভাপতির দায়িত্বেও অধিষ্ঠিত ছিলেন। তার চাকুরীরতকালীন সময়ে বিভিন্ন অনুদান ও কলেজের সংস্কার উন্নয়নমূলক কাজের ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮০ হাজার তিনি আত্মসাৎ করেন। সেগুলো হলো অরুয়াইল বড় বাজার ৮ টি দোকানের ডাক, জেলা পরিষদ হইতে কলেজের গেইটের বরাদ্ধ, সরকারি বরাদ্ধ স্খানীয় এমপি সহ অনুদান কলেজের মার্কেটের ১৬ টি দোকানের ডাক ছাত্রাবাসের টাকাসহ যথাক্রমে ৬ লাখ, ১,৮০ হাজার,২০ হাজার, ৪ হাজার, ৩ লাখ, ৩লাখ৫০ হাজার টাকা, বাদীর অনুদান ১০ লাখ, ৪ লাখটাকা, ৫০ হাজার টাকা, ৩ লাখ টাকা, ১২ লাখ টাকা,৮ লাখ টাকা, ৫ লাখ টাকা, ২১ লাখ টাকা অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমান নিজের জিম্মায় রাখেন।  কিন্তু কলেজের উন্নয়নে তিনি এসমস্ত বরাদ্দের টাকা খরচ না হওয়ায় চলতি বছরের গত ২২ মার্চ কলেজ পরিচালনা পর্ষদ ২০১৪ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত অভ্যন্তরীন তদন্ত করেন। তদন্তে কলেজের কলামনার ক্যাশবুক, ছাত্র বেতন ও ফি আদায় রেজিস্টার , দেনিক আয়-ব্যয় বই, চেক রেজিষ্টার, কলেজ মার্কেটের সিকিউরিটি ও ভাড়া আদায় লেজার বুক, কলেজ মাকের্টের ভাড়া আদায় রশিদ  বই, প্রকল্প ভিত্তিক হিসাব, বিবিধ আয় বই, ব্যাংক হিসাব বই সহ অনেক বুমেন্ট পাওয়া যায় নি। এতে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা অধ্যক্ষ মুখলেছুর  রহমানের কাছে রয়েছে বলে তদন্তে উঠে আসে। তদন্তে বের হওয়া কলেজে আমানকৃত অর্থ চাইলে অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমান সেই অর্থ না বুঝিয়ে দিয়েই গত ৯ মার্চ তিনি কলেজ থেকে বিদায় নেন। বিদায় নেওয়ার পূর্বে তদন্তে বের হয়ে আসা কলেজের অর্থ না বুঝিয়ে দিয়ে গেলে গত ২৫ মার্চ অধ্যক্ষ মুখলেছুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে টাকা পরিশোধের কথা জানালে তিনি সেটি অস্বীকার করেন। সেদিন বিকাল ৩ টায় কলেজটির আজীবন দাতা সদস্য হাজী আবু তালেব বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট (সরাইল) আদালতে কলেজের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন।
কলেজের আজীবন দাতা সদস্য আবু তালেব  বলেন, সাবেক অধ্যক্ষ কলেজের ১ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন। কারণ কলেজের সকল অর্থ তার কাছে আমানত থাকত। তিনি সেটির সুযোগ নিয়েছেন। আত্মসাতের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখলেছুর রহমান বলেন,‘এ সবই মিথ্যা। আমি কোনো টাকা আত্মসাৎ করিনি।  এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে ছোট   করতে মিথ্যা মামলা করেছে। আইনের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।