
মো. তাসলিম উদ্দিন সরাইল( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে এই নিয়ে ঝড় উঠেছে। একদিকে অসহনীয় লোডশেডিং, অন্যদিকে প্রচণ্ড তাপদাহে জনসাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন। রোজার মাসে ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়ও মিলছে না বিদ্যুৎ। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছেন উপজেলাবাসী। বিদ্যুৎ নিয়ে বিভিন্ন কথাও বলছেন।এদিকে গত কয়েক দিন ধরে বিদ্যুতের ভেলকিবাজির কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভের ঝড় বইছে।বিদ্যুৎ বিভ্রাটে রোজাদারসহ শিশু বাচ্চা, বৃদ্ধ বয়সীরা ও রোগীদের এতে করেও দেখা দেয় চরম ভোগান্তি।উচালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুতের এমন অবস্থায় এখন অসুস্থ বোধ করছি। এমতাবস্থায় দেশে থাকা কঠিন হয়ে উঠেছে। দেশে এসেছিলাম সবার সাথে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে।
কিন্তু দিন নেই রাত নেই প্রচণ্ড গরমের সময়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছেই।সরাইল বাজারের কাপড়ও জুতা দোকানের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, প্রচণ্ড গরম আর বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে ক্রেতারা বাজারে আসছেন না। মাত্র ঈদ বাজার জমে উঠেছিল।এতে বেচাকেনা কম হওয়াতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাবেয়া নামে এক গৃহিণী বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ফ্রিজে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানি তোলা যাচ্ছে না। প্রচণ্ড তাপদাহের সঙ্গে বিদ্যুতের অত্যাচারে শিশু ও বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আগে তো কোন সময় এমন অবস্থা ছিলনা।
উপজেলার শাহবাজপুর এলাকার সাহাদ আহমদ বলেন, দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এতো বেশি লোডশেডিং মেনে নেওয়া যায় না। সারা দিন রোজা রেখে মানুষ শান্তিতে ইফতার ও তারাবি নামাজ পড়বে, তাও পারছে না। রোজার মাসে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি আমরা। আগে তো কোন সময় রোজার মাসে বিদ্যুতের এমন অবস্থা ছিল না। সরাইল উপজেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে।সেই সাথে চাহিদা অনুযায়ী এ উপজেলায় বরাদ্দ কম। তিনি বলেন, ১৬ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ১০-৯ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
পড়েছেনঃ ১১১