
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এক-এগারোর জরুরি অবস্থার অনৈতিক সরকার দেশকে বিরাজনীতিকরণের লক্ষ্যে মাইনাস-টু ফর্মুলাসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তাদের মিশন সফল করতে চেয়েছিল। সে সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তারেক রহমানের স্ত্রী ও জিয়া পরিবারের সদস্য হওয়ায় ডা. জোবাইদা রহমানকেও একই মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়। জনগণের কাছে স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, বহুদলীয় গণতন্ত্র, উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারক ও বাহক জিয়া পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন ও বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এবং অপরাপর রাজনৈতিক
নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করা হয়।
তিনি আজ ২ আগস্ট (বুধবার) বিকালে কাজীর দেউরীর মোড়ে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী ডাক্তার জোবাইদা রহমান’র বিরুদ্ধে দুদক’র ফরমায়েসী মামলার ফরমায়েশি রায়ের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে ও যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ এর সঞ্চালনায় উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি আরো বলেন, এই সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে এবং আজকে যে বিদায়ের দাবি উঠেছে তাতে সরকার ভীত। ভয়ের কারণে তারা এসব পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারই অংশ হচ্ছে তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশী রায় ঘোষণা করেছে। আমাদের চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য সরকার এসব কর্মকান্ড করছে। গত ১৪ বছর ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নির্যাতন হচ্ছে, গুম হয়েছে, বিচার বহির্ভূত হত্যা হয়েছে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে তা অবান্তর, ভিত্তিহীন, অমূলক। যে আদেশ দেওয়া হয়েছে তা প্রতিহিংসামূলক ফরমায়েশি। এসব মামলা, আদেশ, রায় দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ বা ডা. জোবাইদা রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করতে
পারবে না এবং গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন পুন:প্রতিষ্ঠায় চলমান আন্দোলন বিভ্রান্ত বা নস্যাৎ করতে পারবে না। আমাদের কর্মসূচিগুলোতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ থেকে বোঝা যায়, এসব নির্যাতন করে আমাদের দমন করা যাবে না।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, সরকার দেশের জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে দূরে রাখা, রাজনীতি থেকে দূরে রাখা এবং সত্যিকার অর্থে এখানে যাতে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতে পারে, তারা যেন একদলীয় নির্বাচন আবার করতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার এসব কাজ করছে। কিন্তু এবার জনগণ এটা করতে দেবে না। বর্তমান ব্যর্থ,
দুর্নীতিবাজ, ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণে সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এই প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির শিকার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তথা জিয়া পরিবার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। এই আদেশ ফরমায়েশি এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, মামলাগুলোর রায় দেওয়া থেকে বোঝা যায়, এই সরকার সম্পূর্ণ রাষ্ট্রযন্ত্রকে দখল করে নিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে দখল করে নিয়েছে। ফরমায়েশি রায় দিয়ে যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে, তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চাইছে। এটা আজকের ব্যাপার নয়, দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে তারা একই কাজ করছে। আজকে ইকবাল তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে, জোবাইদার বিরুদ্ধে যে রায় দিয়েছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, আমরা ক্ষোভ প্রকাশ করছি। আমরা মনে করি যে, এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এই ধরনের রায় দিয়ে কোনো দিন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আদায় করবে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আসা আদেশ বাতিল ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, এতে মহানগর বিএনপির সদস্য কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, ফজলুল হক সুমন, মোঃ মুসা, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দীন রাসেল, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান রাসেল, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নুর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মাদ সাগির, মহিউদ্দিন মুকুল, মোঃ নুরুল আমিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদকবৃন্দ আতিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, মোঃ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, গুলজার হোসেন মিন্টু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ জামান, ইব্রাহিম খাঁন, দেলোয়ার হোসেন, সদস্য মাহবুব খাঁন জনি, সাইদুল হক শিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, থানা যুবদলের আহবায়ক বজল আহমেদ, সদস্য সচিব মনজুরুল আলম মঞ্জু, শওকত খাঁন রাজু, শেখ রাসেল, তাজ উদ্দিন তাজু, মোঃ মুসা, এ জেড এম সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নুর খাঁন, সাইফুল আলম রুবেল, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, ইউনুছ মুন্না, ইকবাল হোসেন মিলন, মোঃ ফরহাদ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক এস এম আলী, মোঃ আকতার, মোঃ মেহেদী, বাদশা আলমগীর, রাসেল খাঁন,সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কাজীর দেউরীর মোড় থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।