
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)কর্তৃক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রেফারি তিনি। কুমিল্লায় বিভিন্ন টুর্নামেন্টে প্রথম , দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির ফুটবল খেলাপরিচালনা করেন তিনি।মাঝেমধ্যে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ফুটবল খেলা পরিচালনার ডাক পড়ে তাঁর। মাসুম খন্দকার কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার উপজেলার ৬ নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মাওলানা মোঃ আবুল কাশেম খন্দকারের ঘরে ০১-০৩- ১৯৮৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন,তিন ভাই এক বোনের মধ্যে মাসুম পরিবারের বড় ছেলে, ছোটবেলা থেকে বাবা মায়ের কড়া নজরে পড়াশোনায় পা রাখেন মাসুম।বাবা শিক্ষকতা পেশায় থাকায় চার বছরে স্কুলে পদার্পণ করে সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর বন্যায় স্কুলে যাওয়ার মত অবস্থান ছিল না,তাই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যেত মাসুম । তখন তার বাবার বন্ধু তাকে ফাতেহাবাদ আলিম মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দেয়, ফলে ফতেহাবাদ অনেক দূর হওয়ায় মন খারাপ করতো মাসুম, এইভাবে যখন অষ্টম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয় তখন আবার ফিরে আসে নিজ এলাকার প্রতিষ্ঠান, সুলতানপুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায়। তারপর মাদ্রাসা থেকে ১৯৯৭ সালে দাখিল ১ম বিভাগ ১৯৯৯ সালে আলিম ২য় বিভাগ।২০০১ সালে ফাজিল -২য় বিভাগ। ২০০১ সালে মাসুম সুলতানপুর ফাজিল মাদ্রাসায় সংসদ নির্বাচনে ভি,পি পদের নির্বাচিত হয়। তখন অধ্যক্ষ ছিলেন, মোঃ কবির আহমেদ ।তখন মাদ্রাসার ফাজিলের সার্টিফিকেট এবং ডিগ্রির সার্টিফিকেটের মান সমমান ছিল না, বিধায় আবার ২০০১ সালে তিনি সাহেবাবাদ ডিগ্রী কলেজ থেকে ডিগ্রী পরীক্ষা দিয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়।
এর পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে বাংলা নিয়ে মাস্টার্স প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দিবে এই মুহূর্তে হঠাৎ করে সিঙ্গাপুর চলে যান তিনি। ২০০৫ সালে জুন মাসের ৫ তারিখ সিঙ্গাপুর গিয়ে কর্মজীবন শুরু করে মাসুম। ৮ মাস যাওয়ার পরে সুপারভাইজার হন তিনি।২০০৮ সালের মে মাসের ৮ তারিখে হঠাৎ বাংলাদেশে তাঁর মা ইন্তেকাল করেন।মা হারানোর বেদনায় সিক্ত হয়ে,দুমাস পরে দেশে ছুটিতে আসে । মায়ের সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে, তখন দোয়া করা ছাড়া কিছুই ছিল না তাঁর।। শত সুখের মাঝেও মা,কে হারিয়ে যেনপৃথিবীটা চুরমার হয়ে গেল সেই চূর্ণ-বিচূর্ণ অবস্থায় আবার চলে গেলেন সিঙ্গাপুরে। এইভাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ছিলেন মাসুম। তারপরে হঠাৎ করে একেবারে দেশে চলে এসে বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী শুরু করেন,পরে ২০১৮ সালে কুমিল্লা ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজে বিপিএড ভর্তি হন এবং প্রথম বিভাগের উত্তীর্ণ হয় । তখন তিনি নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে, কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস,বেসরকারিতে চাকরির বয়স ৩৫ হওয়ায়, তিনি আর নিবন্ধন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতেপারেনি। কিন্তু মাসুম পিছপা হয়ে থাকেনি পরে ঢাকা মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজে মাস্টার্স অফ ফিজিক্যাল এডুকেশন (MPED ) ভর্তি হয়ে এম,পি,এইড এ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়। মাসুম ছোটবেলা থেকে খেলাধুলার প্রতি খুব আগ্রহ ছিল,তাই ২০১৯ সালে রেফারিং কোর্স কমপ্লিট করে। এবং আরো অত্যন্ত সহজ হয় বিপিএড এম পি এড করার কারণে।
বর্তমানে মাসুম বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করার পাশাপাশি বিভিন্ন মাঠে ফুটবল খেলার রেফারিং এর দায়িত্ব পালন করে থাকেন।