আওয়ামী দু:শাসনের বিচার নিশ্চিত করতে হবে – আবু সুফিয়ান

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, কোটা সংস্কারের শাস্তিপূর্ণ আন্দোলনে পৈশাচিক গণহত্যা চালিয়ে খুনী হাসিনা সরকার স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা কে কলংকিত করেছে। এ অমানবিক ও পৈশাচিকতা দেখে শুধু দেশবাসী নয় বিশ্ববিবেকও আৎকে উঠেছে। আওয়ামী দুঃশাসনে দীর্ঘ ১৫ বছরে বিরোধী দল সহ দেশের মানুষের মধ্যে অবহেলা-অসন্তোষ, দুঃখ-কষ্ট ও ক্ষোভ-ক্রোধ আগ্নেয়গিরির লাভার মতো সঞ্চিত হয়েছে যা ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বিস্ফোরিত হয়েছে। আমাদের প্রিয়নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘সংগ্রামী জনতার পরাজয় ইতিহাসে নেই’। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মুক্তিকামি জনতার বিজয় হয়েছে আর ক্ষমতালিপ্সু, দাম্ভিক হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এখন খুনি শেখ হাসিনাকে দেশে এনে অতি দ্রুত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।

তিনি আরোও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের ১৫ বছরের ইতিহাস, অত্যাচার-নিপীড়ন-শোষণের ইতিহাস। গুম-খুন-হত্যা-লুটপাট-চাঁদাবাজি-নৈরাজ্যের ইতিহাস। আওয়ামী দু:শাসনে সাধারণ জনগণ একেবারেই শেষ হয়ে গেছে, ভালো ছিল গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকার দলীয় লুটেরা রাজনীতিবিদ ও দখলদার-মজুতদার ব্যবসায়ীরা। বাংলার মানুষ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি চেয়েছিল। গুম-খুন থেকে মুক্তি চেয়েছিল। লুন্ঠিত ভোটাধিকার সহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত চেয়েছিল। হামলা-মামলা, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে বিএনপি জনগণের দল হিসেবে দানব সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই করে এসেছে। তাই অবৈধ ক্ষমতার জোরে দেশের মানুষের উপর আওয়ামী লীগ যে জুলুম নির্যাতন করেছে এখন সে অপকর্মের বিচার করতে হবে। বিগত ১৫ বছরে দেশে সংগঠিত গুম খুন ও গণহত্যার দায়ে খুনী হাসিনা সহ তার সহযোগীদের ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারের অবসান হলেও দেশীবিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা বসে নেই। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।

আজ ১৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১২টায় নগরীর বহদ্দারহাট চত্বরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবিতে চান্দগাঁও থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘অবস্থান কর্মসূচীতে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অবস্থান কর্মসূচীতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আনোয়ার হোসেন লিপু, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, সাবেক আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক নকীব উদ্দীন ভুইয়া, সদস্য জসিম উদ্দিন।

চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়ার সভাপতিত্বে থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসন এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচী তে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আসলাম, ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস শেকু, হাজী আইয়ুব, ৭নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, আফিল উদ্দিন আহমেদ, শাহনওেয়াজ চৌধুরী মিনু, বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলী, সালামত আলী, হাজী আবু বক্কর, এম এ হামিদ দিদার, হারুন সওঃ, দানু সওঃ, নুরুল আমিন, এম. আবু বক্কর রাজু, আরফিুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, মো. আলমগীর, নুরনবী, আব্দুল নবী, আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম, মাহবুব আলম, মো. আলম, সাজিদ হাসান রনি, মোরশেদ কামাল, নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, মো. শহীদুজ্জামান, আব্দুর রহমান আলফাজ, ইউসুফ আলী লিটন, আকতার হোসনে, আবু বক্কর বাবু, ইসকান্দর হোসেন, শফিউল্লাহ মামুন, আলমগীর টিটু, সিরাজুল ইসলাম ইকবাল, মো. বেলাল, আনিসুজ্জামান, মো. হোসেন মাসুম, মিজানুর রহমান সুমন, জালাল উদ্দিন, কাইছার হোসেন, আব্দুল আজিজ, রায়হান আলম, মো. পারভেজ, মো. হাকিম, শহীদুল ইসলাম, মো. মুরাদ, জহিরুল ইসলাম জহির, হোসাইন, সায়মন, মো. মাসুম, কামাল হোসেন খোকন, দেলোয়ার হোসেন খোকা, ইসহাক জয়, আনসিুর রহমান হিরু, আব্দুর রশিদ, সাদ্দাম হোসেন, মনছুর আলম, দেদুল বড়ুয়া, নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, সাঈদ ইসলাম বাপ্পি, সাফায়াত হোসেন সোহান প্রমুখ।