বন্যাদুর্গত এলাকায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনস্থ সকল দপ্তর, সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিৎ মেরামতের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। আজ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যমতে বন্যাদুর্গত ১১টি জেলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে বিতরণ করা হয়েছে ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার পানি শোধন ট্যাবলেট। জেরিকেন বিতরণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৪৫৩টি এবং ইউনিসেফের সহায়তায় বিতরণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮৬৯টি হাইজিন কিট।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হতে পাওয়া তথ্যমতে সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭ হাজার ৮০০ কিলোমিটার রাস্তা এবং ১ হাজার ১৪০টি ব্রিজ ও কালভার্ট। এই পর্যন্ত এলজিইডি ৬৫ কি.মি. রাস্তা এবং ৬৫টি ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামত করেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আজ বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৬ হাজার ৭৭৩ জনকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৩২৮ জন মানুষ এবং ৮ হাজার ৪৩৯ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে ৯টি (ফেনী ৫টি, মৌলভীবাজার ১টি, নোয়াখালী ১টি, লক্ষ্মীপুর ১টি ও কুমিল্লা ১টি) মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৪৬ হাজার ৩৪ লিটার নিরাপদ খাবার পানি বিতরণ করেছে।
সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ৫টি জেলা (হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি) বন্যামুক্ত। কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেণী, লক্ষ্মীপুর, রাঙ্গামাটি এবং মৌলভীবাজার জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা পরবর্তী রোগ ব্যাধির প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।