প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে জিম্মি করে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ আরেক প্রার্থীর

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন সাতকানিয়া উপজেলার ১৩ নং বাজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আনারস প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল্লাহ চৌধুরী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন – আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাপস কান্তি দত্ত আমাকে জিম্মি করে রেখে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ ২২ জানুয়ারী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে বিভিন্নভাবে আমাকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের চাপ দিলে এলাকার আপামর জনসাধারণ বাজালিয়া স্টেশনে রাস্তায় নেমে পড়েন। তাঁরা আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার মেনে নিবেনা বলে বিক্ষোভ করেন । জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আমি আমার প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করলে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী তাপস কান্তি দত্ত সরাসরি তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল হতে এলাকার নিরীহ মানুষদের প্রাণে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছেন। শহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন – আমার মরহুম পিতা আব্দুস ছাত্তার চৌধুরী দুঃসময়ে অত্র ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আওয়ামীলীগকে সংঘটিত করেছেন । আমি উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘ ৬ বছর সাধারণ সম্পাদক ও সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের দায়িত্ব পালনকালীন তাপস কান্তি দত্ত’র সমস্ত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে আসছি। বিগত ৫ বছর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চেয়ারম্যান হওয়ার পর এলাকায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ও কিশোর গ্যাং তৈরী করে নিজস্ব বলয় সৃষ্টি করে এলাকায় সন্ত্রাস এবং ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে বিভিন্ন অনিয়ম , দুর্নীতি , জায়গা দখল , সাঙ্গু নদী হতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বিভিন্ন ধরণের অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন । তিনি বলেন – যাতে তাঁর এই সমস্ত হিংসাত্বক ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সজাগ দৃষ্টি রেখে আসন্ন ৭ ই ফেব্রুয়ারী একটি অবাধ , নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করছি । একইসাথে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।
Open photo