
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেইটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর স্মৃতি বিজড়িত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। একইসাথে বিজয় র্যালীও বের করে নেতাকর্মীরা৷
রোববার রাত ১২টা ১ মিনিটে কয়েক হাজার ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নগরের পলিটেকনিক মোড় থেকে বিজয় দিবসের র্যালী শুরু করে৷ র্যালীতে নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত পোষ্টার, পেষ্টুন নিয়ে অংশ নেয়৷ এসময় এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে, লাল সবুজের পতাকায় জিয়া তোমায় দেখা যায় স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজপথ৷ পরে নেতাকর্মীরা মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফের নেতৃত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, চকবাজার থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ নুরু, পাঁচলাইশ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহীন, ৪৩ নম্বর সাংগঠনিক ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. মোমিন, পাঁচলাইশ থানা যুবদল নেতা মো. উজ্জল, যুবদল নেতা মো. মাসুদ, মো. রানা, সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মেহেরাজ, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ রাকিব, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমন প্রমুখ।
এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানি, আপামর মুক্তিকামী মানুষের সংগ্রাম স্মরণে প্রতিবারের ন্যায় এবারও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে৷ একইসাথে বিজয়ের যে আনন্দ তা নগরবাসীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়৷ তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকার গুম, খুন, জেল-জুলুম জারি রেখেছিল বিএনপিসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর। শুধু তাই নয় তারা পরিবারগুলোর উপর সীমাহীন জুলুম করেছে৷ এতোদিন তেমন কোন আয়োজনে আমরা বিজয় দিবস পালন করতে পারিনি৷ এছাড়াও ইতিহাস বিকৃত করে হাসিনা তার বাপ দাদার কাহিনী মানুষকে গিলতে বাধ্য করেছে৷ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম মহানায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আড়াল করা হয়েছে এবং তার অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানাতে আমাদের এ আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।।















