
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: গত ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ইং তারিখ মোঃ আবদুর রাজ্জাক এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে তাদের বাসা হতে বাহির হয়ে হাটহাজারী থানাধীন হাটহাজারী পৌরসভার অন্তর্গত কামাল পাড়া বৌ বাজারের পূর্ব পাশের এসআই ভবনের সামনে রাস্তায় আসলে সবুজ আচার্য্য (২৬), বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে ও ফুসলাইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমকে অসৎ উদ্দেশ্যে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে আত্মগোপন করে। এই সংক্রান্তে ভিকটিম এর পিতা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০৩ তারিখঃ-০২/০২/২০২২ খ্রিঃ, ধারাঃ- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩)। মামলা রুজুর পর থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেফতারে লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর চৌকষ আভিযানিক দল প্রযুক্তির ব্যবহার ও কঠোর নজরদারির শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব- ৭, চট্টগ্রাম এর চৌকষ আভিযানিক দল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও কঠোর নজরদারির মাধ্যমে জানতে পারে যে, অপহরণকারী চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানাধীন বারেক বিল্ডিং এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ০৩ ফেব্রæয়ারী ২০২২ ইং তারিখ র্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি চৌকস অভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী সবুজ আচার্য্য (২৬), পিতা- শীতল আচার্য্য, সাং- নতুনহাট দীঘিরপাড়া, ভোলা ডাক্তারের বাড়ী, থানা- রাউজান, জেলা- চট্টগ্রামকে আটক করে এবং ভিকটিম অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, সে অসৎ উদ্দেশ্যে বাদীর অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে অপহরণ করে আত্মগোপন করেছিল কিন্তু চৌকষ র্যাব সদস্যদের বিচক্ষণতার কারনে মামলা রুজুর একদিনের মধ্যেই ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারী গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।