সন্দ্বীপ প্রতিনিধি: সন্দ্বীপবাসির নৌ যাতায়াতের সকল ঘাটে একক ইজারা প্রথা বাতিল করে উম্মুক্ত করা, নিরাপদ-নির্ঝঞ্ঝাট ও যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণ সহ ৫ দফা দাবিতে আজ ১৩ ফেব্রয়ারী রবিবার বেলা ১২টায় সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন ও সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে সন্দ্বীপের মানুষের নৌ যাতায়াতের বিভিন্ন মূখী ভোগান্তির কথা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন- সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি’র আহবায়ক রাজিবুল আহসান সুমন ও সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম এর সভাপতি এডভোকেট এম এ বারী। এসময় উপস্থিত ছিলেন- এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল কাসেম, জনাব এস এম ইব্রাহীম, সাধারণ সম্পাদক জনাব মন্জুর আলম, এডুকেশন সোসাইটি’র সদস্য সচিব জনাব শাহজামান আরজু, জনাব আলতাফ হোসেন, জনাব সাইফুর রহমান লিংকন, জনাব ফারুন খান, এসোসিয়েশন এর জনাব মনিরুল মাওলা রিপন, জনাব বাবর উদ্দীন সাগর, মোঃ ইব্রাহিম, টিটু, জনাব মজিবুল মাওলা, অনলাইন এক্টিভিষ্ট ফোরামের শামসুল আরেফিন শাকিল, যাত্রী কল্যান সমিতির সৈকত, সহ শত শত সন্দ্বীপবাসি।
সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন ও সন্দ্বীপ এডুকেশন সোসাইটি’র পেশকৃত ৫ দফা দাবি সমুহঃ-
১। (ক) চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ কর্তৃক পরিচালিত কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাটে খাস কালেকশনের নামে একক মনোপলি অবৈধ ইজারা প্রথা বাতিল করে দেশের অন্যান্য নৌ রুটের মতো ঘাট উম্মুক্ত করতে হবে।
(খ) সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের সকল ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়ন করে উম্মুক্ত পদ্ধতিতে ঘাট পরিচালনা করতে হবে।
২। (ক) বাংলাদেশের অন্যান্য নৌ রুটের মতো সন্দ্বীপের মানুষের যাতায়াতের সকল ঘাটে স্পীড বোট ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৮-১০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে এবং যাত্রী প্রতি ২০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা মাশুলে পরিবহনের সুযোগ থাকতে হবে।
(খ)সার্ভিস বোট ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ৫- ৬ টাকা নির্ধারন করতে হবে।(গ) ট্রলারে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করতে হবে এবং দেশের অন্যান্য নৌ রুটের মতো সরকার নির্ধারিত হারে আদায়ের ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘাটের উম্মুক্ত স্থানে ভাড়ার সাইনবোর্ড টাঙাতে হবে।
(৩) ঘাটে যাত্রী পারাপারের জন্য বৈধ আধুনিক মানসম্মত ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে চলাচল উপযোগী যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
(৪) (ক) ঘাটে সাধারণ যাত্রীদের টিকেট প্রাপ্তিতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে না রেখে টিকেট প্রাপ্তি সহজ করতে হবে।
(খ) ঘাটে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দ্বারা সাধারন যাত্রীদের দুর্ব্যবহার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। যে কোন হয়রানি প্রতিকারে ঘাট পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের ফোন নম্বর দিতে হবে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
(৫) কুমিরা-গুপ্তছড়া ঘাট সহ সকল ঘাট পরিচালনা তদারকির জন্য এবং যে কোন দুর্ঘটনায় দ্রত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে ক্ষতিপুরন আদায়ের ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, সন্দ্বীপ ও সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিসি’র প্রতিনিধি, নৌবাহিনীর প্রতিনিধি, কোষ্ট গার্ড প্রতিনিধি, নৌ পুলিশের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে।