রৌমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষা কাজ ধীরগতি বললেন: চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম

রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে চলছে বামতীর রক্ষা বাঁধের কাজ। এদিকে আগামীকয়েক মাসের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রখর ¯্রােতে বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে। যদি কাজের গতি না বাড়ে বন্যার পানিতে বিফলে যাবে সরকারের কোটি কোটি টাকা। গতকাল শনিবার ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষা বাঁধের কাজের গুনগত মান ও সার্বিক বিষয়ে নিয়ে পরিদর্শনে আসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম। পরিদর্শনে শেষে বলেন, এই কাজের গতি বাড়াতে হবে তা নাহলে নদী ভাঙ্গন রোধ সম্ভব নয়। নষ্ট হবে হাজার হাজার একর
ফসলি জমি বিলিন হবে শতশত ঘড় বাড়ি। অপর দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষার কাজ বিফলে যাবে। সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে কাজ করার তাগিদ দেন বাঁধ সংরক্ষণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।

উল্লেখ্য যে, রৌমারী উপজেলার ঘুঘুমারী, চর ঘুঘুমারী, খেরুয়ারচর, খেদাইমারী, চর খেদাইমারী, সাহেবের আলগা, বলদমারা, বাইশ পাড়া, ফলুয়ারচর,যাদুরচরের দিগলা পাড়া, ধনারচর, রাজিবপুর উপজেলার চর রাজিবপুর, কোদালকাটি ও মহনগঞ্জ ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর রক্ষাবাঁধের কাজ ২০১৯ এবং ২০২০ সালের অর্থ বছরের টেন্ডারকৃত ৭.৩ কিলো মিটারের বিপরিতে ৪৭৯ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত মূল্য ব্যায়ে আরএফএল কোম্পানীর ৪টি, স্টার্ন্ডাড কোম্পানীর ৪টি,
তাজ মঞ্জিলের একটি, জেডিএমএম বিল্ডার্স একটি, মের্সাস ডন করপোরেশন এন্ড সানফ্লাওয়ার কোম্পানি একটিসহ ১৫ টি প্যাকেজে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজ গুলি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

এসময় সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, তত্ত¡বধায়ক প্রকৌশলী খুশি মহন সরকার, কুড়িগ্রাম জেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, এসডিও রফিকুল ইসলাম ও এসডিও মামুদসহ আরো অনেকে। আরএফএল কোম্পানীর দায়িত্বরত (পিডিএল) প্রজেক্ট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাজের গতি বাড়িয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আগামী বর্ষার
আগেই ডাম্পিং, প্লেসিং কাজ শেষ করার জন্য। পরিদর্শনে আশা তত্ত¡াবধায়ক খুশি মহন সকরকার বলেন, বামতীর রক্ষায় ঠিকাদারগণ বিভিন্ন অজুহাতে ধীরগতিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্ষার আগে বামতীর রক্ষাবাঁধটি মোটা মোটি
ভাবে কাজ শেষ করতে না পারলে নদী পারের মানুষ ভাঙ্গনের শিকার হবে। নদী গর্ভে বিলীন হবে শতশত বাড়িসহ আবাদি জমি। আমরা সঠিক সময়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি।