
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সহযোগিতায় মহানগরীর ভাসমান ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর মাঝে জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরীর ১ লাখ ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষকে জনসন কোভিড-১৯ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইংরেজি বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন খলিফাপট্টি, বান্ডেল রোডের মেথরপট্টির সাধু তারাচরণ সেবাশ্রম, হাজারী লেইনের শিব মন্দির, চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দার হাট ও বাকলিয়া থানাধীন নোমান কলেজ এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। এসব এলাকায় ৩ হাজার ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষকে এক ডোজ করে জনসন এন্ড জনসন কোম্পানীর ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। তন্মধ্যে খলিফাপট্টিতে ৬’শ, মেথরপট্টিতে ৫’শ, হাজারী লেইনে ৯’শ, বহদ্দার হাটে ৫’শ ও নোমান কলেজ এলাকায় ৫’শ মানুষকে জনসন ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে। নগরীর সকল ভাসমান মানুষ ধাপে ধাপে এ টিকার আওতায় আসবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৬, ২০ ও ৩২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্তের সভাপতিত্বে ও সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত¡াবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পৃথক জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির আজীবন সদস্য সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ সম্পদ দে, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষাবিদ প্রবীর মিত্রসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। পৃথক ভ্যাকসিন প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, দেশের প্রত্যেক মানৃষকে সুরক্ষিত রাখতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিশ্বে ২্#৩৯;শ দেশের মধ্যে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে বাংলাদেশ দশম অবস্থানে রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরে এ পর্যন্ত ৭০ শতাংশ মানুষ কোভিড ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে এবং এখানে ১ কোটি ৮ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ ভ্যাকসিন না পেয়ে থাকবেনা। ছিন্নমূল, ভাসমান, পরিবহন শ্রমিক, দিনমজুর, বেদে ও হিজড়া সম্প্রদায়সহ যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্মনিবন্ধন কার্ড না থাকার কারণে সুরক্ষা অ্যাপস থেকে ভ্যাকসিন গ্রহনের রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি তাদেরকে জনসন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এ ভ্যাকসিন এক ডোজ যারা নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন হবেনা। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্দেশনায় ভাসমান মানুষগুলোকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে নগরীর ১ লাখ ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষকে জনসন কোভিড-১৯ টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষেরা সুরক্ষিত না থাকলে আমরা কেউ সুরক্ষিত থাকবোনা। তাদেরকে দ্বিতীয়বার খুঁজে পাওয়া কষ্টসাধ্য হবে। তাই তাদেরকে জনসন এন্ড জনসনের এক ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায় এনে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ।