চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী কামাল আটক

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ গত ২১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখ চট্টগ্রামের রাঙ্ধসঢ়;গুনিয়ায় আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারীকে রাংগুনিয়া উপজেলার রানীরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয় গেটের সামনে কতিপয় দুস্কৃতিকারী গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ০৮ জন নামীয় ও ৪/৫ অজ্ঞাতনামা করে চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, যার নং- ০৮(১)১৫, ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ, দায়রা মামলা নং-২১৬৪/১৭ এবং জিআর নং-০৮/১৫, ধারা-৩০২/৩৪ দঃ বিঃ। উক্ত মামলায় গত ১৫ ফেব্রæয়ারি ২০২২ইং তারিখ ২৩ জন সাক্ষীর সমস্ত সাক্ষ্য প্রমানের উপর ভিত্তিতে মহামান্য আদালত অভিযুক্ত দুই আসামীকে মৃত্যুদন্ড এবং ছয় আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে।

এই মামলার রায় হওয়ার পর থেকেই র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করার লক্ষ্যে ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়ার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ কামাল খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানাধীন কলেজ পাড়া এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ আনুমানিক ভোর ০৬৩০ ঘটিকায় বর্ণিত এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ কামাল (৩২), পিতা-আজিম ওরফে আজম্যা ওরফে আমিনুল হক, সাং-গোদারপাড়া, থানা- রাংগুনিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম’কে আটক করে। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী অকপটে স্বীকার যে, সে উপরে উল্লেখিত জিল্লুর ভান্ডারী হত্যা মামলার রায়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় , ধৃত আসামী মোঃ কামাল পেশায় একজন জীপ গাড়ীর ড্রাইভার। সে উল্লেখিত হত্যাকান্ডের ঘটনায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক পূর্বে একবার গ্রেফতার হয়ে জেলহাজত থেকে ২০১৭ সালে জামিনে মুক্তি নেয়। মুক্তি নিয়ে সে এলাকায় এসে সিএনজি চালানো শুরু করে। পরবর্তীতে মামলার রায় ঘোষনা হওয়ার পরে সে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। পালিয়ে থাকাকালীন সময়ে আসামী কামাল বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে। সর্বশেষ, সে রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটক এলাকা সাজেক ভ্যালীতে একটি রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের কাজ নেয়। সেখান থেকে সে অন্য একটি কাজের সন্ধানে খাগড়াছড়ি এলাকায় অবস্থার করা কালীন সময়ে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।

উল্লেখ্য যে, সিডিএমএস পর্যালোচনা করে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া থানায় ০৬টি ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালী থানায় ০১টি এবং খাগড়াছড়ি জেলার খাগড়াছাড় সদর থানায় ০১টি মামলাসহ সর্বমোট ০৮টি মামলা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার রাংগুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।