শিরোনাম :

    সীতাকুণ্ডে কুমিরা রেলওয়ে কলনি উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মানবন্ধন 

    ফারহান সিদ্দিক , সীতাকুণ্ড : দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে রেলওয়ে কলনিতে বসবাস করছিলেন মো আব্দুল সবুর, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে ভিটে -মাঠি হারিয়ে ঠায় হয়েছিলো চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা রেলওয়ের পরিত্যক্ত  জায়গায়,ছেলে সন্তান নিয়ে কোনরকম দিনাতিপাত করছিলেন।যেখানে নুন আনতে পানতা পুরোয় সেখানে জায়গা কিনে ঘর-ভিটে করা মানে আকাশ কুসুম চিন্তা করার সামিল বলে মনে করেন আব্দুল সবুর। হটাৎ জানতে পারে একমাত্র মাথাগোঁজার স্থানটিও ছেড়ে চলে যেতে হবে  অনএত কারন ৩১ বছর বসবাসরত মাঠিতে আচড় পড়েছে শকুনের এই কথা  বলেই চিন্তার ভাজপড়লো কপালে।শুধু আব্দুস সবুর নয়, প্রায় তিনশত পরিবারের ১ হাজার মতো নিম্ন শ্রেণি মানুষের বসবাস কুমিরা রেলওয়ে স্টেশন  কলনিতে। যাদের কেউ পাহাড়ে জুম চাষী, কেউ রিক্সা চালক, কেউ বা দিনমজুর, কারো কারো  ভিক্ষা ভিত্তি করেও জীবন চলে। রেলওয়ের সরকারী জায়গা কলোনি  ও স্টেশন ফ্লাটফর্মের  আশেপাশের লিজ দেওয়ার নীতিমাল না থাকলেও প্রভাবশালী একটি কোম্পানি লিজ নেওয়ার কথা বলে উচ্ছেদ -অভিযানের পায়তারা করলে এমতাবস্থায় আজ ২২ মে স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার সহ মানবন্ধন করে কলোনিবাসী।  বাস্তুহারা মানুষের উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের হুসিয়ারি দিয়ে অনেক বাধঁভাঙ্গা আর্তনাদে ফেটে পড়ে। এতে প্রায় শতাধিক মানুষ এই মানবন্ধনে আংশগ্রহন করেন।
    মানবন্ধনে  কুমিরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান  মোর্শেদ চৌধুরি বলেন বাস্তুহারা পরিবারকে রেলওয়ে অন্যায়ভাবে  উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। পূণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে এতগুলো পরিবারকে উচ্ছে করা সম্পূর্ণ অমানবিক।এদের বসবাসের জায়গা নিশ্চিত করে তারপর পরবতর্তী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।