
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ ভিকটিম মোঃ ফারুক(৩৫) একজন দিনমজুর ছিলেন। গত ০৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ১৭০০ ঘটিকায় ফারুক হাটহাজারী থানাধীন আমান বাজারের পশ্চিমে ফয়সালের চায়ের দোকানে টেলিভিশনে আইপিএল খেলা দেখছিল। সেখানে মোঃ ফরহাদ(২১)ও খেলা দেখছিল। খেলার পক্ষ বিপক্ষ নিয়ে ফরহাদের সাথে ফারুকের তর্ক বির্তক হয়। তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে ০৫ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ২৩০০ ঘটিকায় ফারুক দোকান হতে বের হয়ে নিজ বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে হাটহাজারী থানাধীন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ০১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ পাহাড়তলী আমান বাজারের পশ্চিমে ভাড়াটিয়া ফয়সালের চায়ের দোকানের পাশের নাজিম কলোনীর গলি পথে পৌঁছালে ফরহাদ (২১), ফয়সাল (২২) এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জনসহ লোহার শিকল, এসএস পাইপ ও লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে ফারুকের মাথায়, ডান কানে, নাকে, চোখে ও মুখসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। আঘাত প্রাপ্ত হইয়া ভিকটিম ফারুকের মুখ দিয়ে অতিরিক্ত লালা নির্গত হইতে থাকায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে আসামীগন ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। ভিকটিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে থাকা দেখে রাস্তার লোকজন গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসার জন্য দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ভিকটিম মোঃ ফারুককে পর্যবেক্ষন ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করে মৃত ঘোষনা করেন।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা সুরমা বেগত বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ১১ জন নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং- ০৫ তারিখ-০৬ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ ধারা-১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩০২/৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০। ঘটনার পর হতে আসামীরা আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায়। এই লোহমর্ষক ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অত্যন্ত মানবিকতার সহিত বিষয়টি গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে উক্ত মামলার ৩নং- আসামী ফরহাদ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন বেতুয়া বাজার পূর্ব বেতুয়া সিকদার পাড়ায় এবং ১নং আসামী নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন পুরাতন কলেজ রোড সংলগ্ন অনন্তপুর তার খালাতো ভাইয়ের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে অদ্য ২৩ মে ২০২২ খ্রি. তারিখে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ ফরহাদ (২১), পিতা- সৈয়দ হোসেন, সাং- দক্ষিন পাহাড়তলী, থানা-হাটহাজারী,জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ ফয়সাল (২২) পিতা-মৃত সেকান্দার আলী, সাং-দক্ষিন পাহাড়তলী, থানা-হাটহাজারী, জেলা-চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা উপস্থিত স্বাক্ষীদের সামনে উল্লেখিত নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার লোহমর্ষক ঘটনার মামলার এজাহার নামীয় ৩ ও ১নং পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে। উল্লেখ্য, মামলার এজাহারে ১১ জন সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও স্থানীয় তদন্তে ৩নং আসামী মোঃ ফরহাদ(২১) ও ১নং আসামী মোঃ ফয়সাল(২২) হত্যাকান্ডের মুল খলনায়ক ছিল মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে। গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।