মধ্যনগর মহিষখলা সিমান্তে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আদিবাসী প্রবাসী সুজলা হাজং এর টাকা আত্মসাৎ লালনের বাড়িতে স্বামীর সৃকৃতির দাবিতে সুজলার অনশন

এম এ মান্নান ,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের মহিষখলা সিমান্তের মোহনপুর গ্রামের বাসিন্দা, মোগবুল হোসেন এর পুত্র কালাগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুল ইসলাম লালন, দির্ঘদিন ধরে একই গ্রামের ভানেশ্বর হাজং এর মেয়ে সুজলা হাজং কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে  ১১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ে, আত্মসাৎ করার অভিযোগ তুলেছে সুজলা হাজং। জানা যায় ১৯ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার সময় সুজলা হাজং স্ত্রীর শিকৃতির দাবি নিয়ে,অভিযুক্ত লালন মাষ্টার এর বাড়িতে অনশন রতো সুজলা হাজং প্রতিনিধিকে জানায়,২০১৩ সালে আমিনুল ইসলাম লালন আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়,এর পর থেকে লালন আমাকে প্রতিদিন ফোনে বিরক্ত করতো,  একপর্যায়ে আমি তার উক্ত বিয়ের  প্রস্তাবে রাজি হই, এবং তার সাথে আমার প্রেমের পাশাপাশি দৈহিক স্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়াও ২০১৪ সালে ধর্মিয় বিধি বিধান মোতাবেক ইমাম দিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি এবং তাকে বিয়ে করি, প্রায় ২ বছর আগে আমি উমান প্রবাসে চলে যাই এবং প্রবাসের উপার্জিত ১১ লক্ষ টাকা ধাপে ধাপে অতি কৌশলে স্বামীর অধিকার কাটিয়ে লালন আমার কাছথেকে হাতিয়ে নিয়ে আমাকে সর্বসান্ত করেছে ।

 

আমি উমান থেকে গত ১৫ জুলাই দেশে এসে তার সাথে দেখা করে বলি, আমাকে তোমার বাড়ি নিয়ে যা-ও তখন সে আমাদের বিয়ের কথা অস্বীকার  করে। এখন আমি দিশেহারা অবস্থায় তার স্ত্রীর সৃকৃতির দাবী নিয়ে তার বাড়িতে অনশন করছি। এবিষয়ে স্হানীয় চেয়ারম্যান এর সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে,তিনি বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখের বিষয়, সম্রান্ত পরিবারের শিক্ষক আমিনুল ইসলাম লালন ও আদিবাসী মেয়েটির প্রেমের ঘটনা এলাকার সকলেই প্রবলভাবে অবগত আছে,তাদের দুজনের টাকা আদান-প্রদানের বিষয়টি শুনেছি, এর একটা সুস্পষ্ট সুরাহা দরকার আদিবাসী অবলা মেয়েটির চিন্তিত স্হায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা জরুরি। ঘটনার ভিকটিম আমিনুল ইসলাম লালনকে সরজমিনে না পেয়ে মুঠো ফোনে কথা বললে সে সুজলা হাজং এর সাথে স্পর্কের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন।