পিরোজপুরে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বাঙালির সকল লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনের নেপথ্যের প্রেরণাদাত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (৮ আগষ্ট) পিরোজপুর জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, সেবা বঙ্গ মাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার বঙ্গমাতার জীবনী তুলে ধরে বলেন, এই মহিয়সী নারী ১৯৩০ সালের এই দিনে (৮ আগস্ট) ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল রেণু। বাবার নাম শেখ জহুরুল হক ও মায়ের নাম হোসনে আরা বেগম। এক ভাই-দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপোষহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই হননি, বিশ্ব বরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বেগম মুজিব তার পিতা-মাতা দুই জনকেই হারান এবং ১৯৩৮ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুধু সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী। এই ত্যাগী নারী বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। তার বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শসমূহ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জনাব মোল্লা আজাদ হোসেন পিপিএম-সেবা, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব থান্দার খায়রুল হাসান পিপিএম-সেবা, অফিসার ইনচার্জ পিরোজপুর থানা, ডিআইও -১ এবং জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীগণ ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংঠনের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।