মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরী জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান :ডা.শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর মত মুক্তিযোদ্ধারা দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান হচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধারা। মোজাহেরুল হক চৌধুরী জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি সারা জীবন সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অসামান্য অবদান ছিল। পরবর্তীতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম নির্মাণে তার যে ভূমিকা তা নিঃসন্দেহে এই চট্টগ্রামবাসীকে উপকৃত করেছে। কিন্তু বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধ পরিপন্থী কাজে লিপ্ত রয়েছে। তাই মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকল মুক্তিকামী জনতাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রাজপথে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি মঙ্গলবার (১ আগষ্ট) বাদে জোহর নগরীর আন্দরকিল্লা কদম মোবারক জামে মসজিদে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাহেরুল হক চৌধুরীর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মোজাহের—মারজান স্মৃতি পরিষদের স্বরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

দোয়া মাহফিলে মরহুম মোজাহেরুল হক চৌধুরীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। এরপর এতিম ছাত্রদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। মানুষের কোন অধিকার নাই। এ রকম স্বাধীনতা চায়নি মুক্তিযোদ্ধারা, তারা এমন একটি দেশ চেয়েছে যে দেশে সকল মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে চলতে পারবে। কিন্তু আজ দেশে চলছে একদলীয় আওয়ামী শাসন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, একাত্তর সালে  মোজাহেরুল হক চৌধুরীরা দেশ স্বাধীন করার জন্য যেভাবে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, ঠিক এখনো সেইভাবে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সবাইকে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
মোজাহের—মারজান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি মারুফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনীর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, সন্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মো. কামরুল ইসলাম, বাকলিয়া থানা বিএনপির সিনিয়র সহ—সভাপতি  এম আই চৌধুরী মামুন, কোতোয়ালি থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, চকবাজার থানার সাধারণ সম্পাদক নূর হোসাইন, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আমিন মাহমুদ, একেএম পেয়ারু, আবদুল আজিজ, ইব্রাহিম বাচ্চু, ইসমাইল বাবুল, ইউসুফ সিকদার, মো. জসিম উদ্দিন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আলাউদ্দিন আলী নূর, ইসমাইল বালী, রাসেল পারভেজ সুজন, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান রিপন, হাজী এমরান উদ্দিন, সৈয়দ আবুল বসর, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, যুগ্ম সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, মো. মুছা, আসাদুর রহমান টিপু, মো. সালাউদ্দিন, আবদুল জলিল, দক্ষিণ জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা এড.এম আনোয়ার হোসেন, এটিএম ফরিদুল আলম, মো. আলমগীর, মোঃ জামাল উদ্দিন, হাজী মো. ইউনুস, দিদারুল আলম, আবুল কালাম আবু, মো. ফিরোজ, আনিছু্ল হক,  মোঃ আলমগীর, ফজলুল কাদের, যুবদল নেতা এন মোহাম্মদ রিমন, মাঈনউদ্দিন খান রাজিব, ছাত্রদল নেতা গাজি রিফাত, মো. কায়সার প্রমূখ।