মো. তাসলিম উদ্দিন
শ্রাবণের পড়ন্ত বিকালে , মেঘাছন্ন আকাশ সবই যেনো প্রকৃতির অপরুপ খেলা। তার উপর ব্যস্ততার এই জীবনে সকল বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত নেই। অনেকটাই অকল্পনীয়। ব্যস্ততার এ জীবেনে অনেকেই ভুলে যান তার বাল্যকাল, বিশেষ করে স্কুল বা কলেজ জীবন টাকে। আজ ৬ আগস্ট বিকালে ছোট্ট মেয়ে মেহজাবিন রিক্সায় ঘুরতে তার খুব পছন্দ। তার ইচ্ছায় রিক্সায় করে কলেজ রোড়ে যাওয়ার সময় কলেজের সামনে গিয়ে বলে আব্বু এটাকি। দেখতে গেটের উপর লেখা সরাইল সরকারী কলেজ চোখে ভেসে উঠলো ভালোবাসা আর স্মৃতি হাজারো স্মৃতি।।
এখানে স্মৃতির পাতায় আজ হয়তো মিলন মেলায় পরিণত হয় বন্ধুদের সাথে সাক্ষাতের দিন-ক্ষনটা বা শ্রদ্ধা ভাজন শিক্ষকদের অতিতের কল্পনাতীত। কিছুদূর যেতে গ্রামের রাস্তার ভিতরে ঢুকতেই মাটির কাদা ফেকের একটি রাস্তা। রিকশা চালক বলছে ভাই সামনে যাওয়া যাবে না। রাস্তার যে অবস্থা। এ কথা বলতে পাশের বাড়ি থেকে বের হলো ইউপি মেম্বার। ইউপি মেম্বার দেখে ভাই আসসালামুয়ালাইকুম কেমন আছেন। আমি বললাম ওয়ালাইকুম আসসালাম ভাই আপনি ভালো আছেন। কোথায় যাবেন। আমি বললাম সামনে যাব। পাশে বসা মেহজাবিন বাবা রাস্তার যে অবস্থা রিকশা সামনে যাবেনা। তখন ইউপি মেম্বার সামনে এগিয়ে আসলো। বললাম কি ভাই আপনার এলাকার রাস্তাঘাটের কি অবস্থা। তখনই ইউপি মেম্বার অনেক কথা বললো, আমি চলে আসলাম আর সামনের দিকে গেলাম না। রাস্তার যে অবস্থা সামনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাকা রাস্তায় উঠতে মেহজাবিন বলে,বাবা মেম্বারসাব কি কইছে আমি সব শুনছি। মা’রে মেম্বার সাব কি কইছে। এসবে তুমি কান দিওনা।
মেহজাবিন বলে, বাবা আপনি শুনেন ‘ এ সব গ্রামের মাটির রাস্তা উন্নয়নে সরকারি ভাবে টিআর’ কাবিখা’ কাবিটা বরাদ্দের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। গ্রামাঞ্চলের মানুষের যাতে চলাফেরা করতে কোন সমস্যা না হয়। জনসাধারণের যাতে যাতায়াত করতে ভোগান্তি শিকার না হয়। এ সব উন্নয়ন করতে স্বানীয় এমপিরা মাটির কাজের জন্যে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বাবা মেম্বার সাব আপনাকে বললো কাবিটা- কাবিখা কাজের কোন হদিস নাই?মারে তুমি এতো কিছু শুনার দরকার কি? মেহজাবিন বলে বাবা, যে পরিমাণে উপজেলা পিআইও অফিসের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো রাস্তার কাজ আসে তা সত্যিই এলাকায় বাস্তবায়ন হয় সেই এলাকার কোন মাটি রাস্তার বে- হাল অবস্থা থাকবে না। দেখেন আপনার সাথে এখন মেম্বার কি বলছে, উপজেলার ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাটির রাস্তায় লাখ- লাখ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। মেম্বার বললো এ রাস্তার বরাদ্দ দিয়েছে। মেম্বার তিনি দস্তখৎ করে দিয়েছেন অফিস থেকে বিল নিয়েছে। তবে এখনো কোন কাজ করে নাই। উনি আবার বলেন, চলতি কি বিল? বাবা পিআইও অফিসে জিজ্ঞেস করেন, কয়টা রাস্তার ও বরাদ্দ কতো টাকা।
সরকার জনগনের কথা চিন্তা করে গ্রামীণ জীবন মান উন্নয়নে এ টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। আর অফিসের দু- একজন আর এলাকার কয়েক জন মিলেমিশে কাজ না করে টাকা উত্তোলন করে কি ভাবে, বাবা আমার মাথায় ঢুকেই না। মা’রে এসব নিয়ে তুমার কি দরকার।বাবা এটা সঠিক বলেন নাই, শুনেন গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ( কাবিটা/ কাবিখা) কর্মসূচি ২য় পর্যায় নগদ অর্থ চাউল ও প্রকল্প সংখ্যা, বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ জেনে বলেন, এ অর্থের প্রকল্পের কাজ হলে এখন আর আপনি রিকশা নিয়ে ফিরে আসতে হতো না। মেহজাবিন বলে বাবা, আমি জানি সব মিলিয়ে তিনজন এমপির বরাদ্দ আসে এ উপজেলায়। তবে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসের মাধ্যমে এ বরাদ্দের কাজ বাস্তবায়ন হয়ে থাকে। মেহজাবিন বলে বাবা উনারা কি করে। মারে এরা আছে বড়ই খুশ মেজাজে ‘ এরা এদের মতো কাজ করে। কিছু বলতে গেলে উপরে আমাদের লোক আছে। মারে এসব বলে আর কি হবে। মারে ” লোকের মুখে প্রকাশ আছে’ কথা তার চটান – চটান কাজে সে খোলা-ডুলা। রাতের কামে পাক্কা শিয়াল “।। আমাদের সরাইল আছে তাদের মা’র ফেসে??
পড়েছেনঃ ৩৩০