
মাসুদ পারভেজ, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ষ্টোর কিপার আব্দুস ছাত্তার নিজ পদ ষ্টোর কিপারসহ ৩ পদে দায়িত্বে থাকায় তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে নিজ বেতনে ষ্টোর কিপার অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান অফিস সহকারী কাম-হিসাব রক্ষন ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সহযোগীতায় তিনি কর্মরত থাকার সুবাদে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি করেই যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় এসব তথ্য। অভিযোগে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আব্দুস সাত্তার ১৯৮০ সালে স্বাস্থ্য বিভাগের অধিনে স্বাস্থ্য সহকারি হিসেবে রৌমারীতে যোগদান করেন। পরে লালমনির হাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি হয়। ৬ মাস যেতে না যেতেই আবার বদলি হয়ে আসেন রৌমারীতে। পরে স্বাস্থ্য পরিদর্শক হিসাবে পদন্নতি পায়। বর্তমানে তিনি ষ্টোর কিপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ষ্টোর কিপারের দায়িত্বে থাকার পরে অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান অফিস সহকারী কাম-হিসাব রক্ষণ ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। একই ব্যক্তি ৩ পদে নিযুক্ত থাকার সুযোগে ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত এমএসআর সামগ্রী সার্ভে কমিটির নিকট হইতে বুঝি নিয়া ষ্টোরে না রেখে সুকৌশলে সরিয়ে ফেলে জানালা ভেঙ্গে চুড়ির অজুহাতে সরকারি মালামাল আত্মসাথ করেন। জেনারেটর না চালিয়ে ভ‚য়া বিল ভাউচার, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ,কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয়বাবদ, ষ্টাম্প সিলবিল, কম্পিউটার যন্ত্রাংস, এ্যম্বুলেন্স এর মালামাল ক্রয়, প্রশিক্ষণ বিল, কর্মচারিদের বিল বেতনসহ বিভিন্ন কাজের জন্য টাকা ছাড়া হাত দিতে চায় না এই ষ্টোর কিপার।
এদিকে নাহিদ হাসান ও রাজু চৌধুরী ঝাড়–দার তাদের বেতন ইএফটির মাধ্যমে না করে পুরাতন নিয়মে বেতন উত্তোলন করে ডাঃ আসাদুজ্জামান নিজ কবজায় রাখেন। অপর দিকে নিজ বেতনে ষ্টোর কিপার হিসাবে দায়িত্বে থাকায় বিভিন্ন ভ‚য়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ দেন। এ অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করলেই থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করে অভিজ্ঞ মহল।
এ বিষয়ে ষ্টোর কিপার আব্দুস সাত্তার বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তা সম্পন্ন সত্য নয়। তবে আমার নিজ পদ বাদে অন্যান্য পদে যে কাজ করছি তা এই পদে লোক না থাকায় উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করে আসছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে লোকবল কম থাকায় ষ্টোর কিপার আব্দুস সাত্তারকে সাময়িক ভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। তবে দুর্নীতি বা অনিয়মের অভিযোগ সঠিক নয়।