পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পঞ্চগড়ের জেলায় আটোয়ারী উপজেলায় দশম শ্রেনীর এক কিশোরী শিক্ষার্থীকে বিয়ে করা কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্জন চা বাগানের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ৷ ওই কিশোরীর ছদ্ম নাম শেফালী (১৪), তিনি বর্তমানে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আটোয়ারী থানা পুলিশ অভিযুক্ত ৭ জনের মধ্যে ২ জনকে আটক করেছে।
শনিবার (৬ আগস্ট) জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার পুরাতন এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামের একটি চা বাগানে এ ঘটনা ঘটে ৷ ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়ি পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলায়৷ আটোয়ারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি খবরটি নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ সুত্র জানায় অভিযুক্তরা হলেন আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারীর মালগোবা গ্রামের মৃত আমিবার রহমানের ছেলে প্রেমিক হাসান (২৫), একই এলাকার ফতেহপুর গ্রামের খামির উদ্দিনের ছেলে মো. সবুজ (৩০),আব্দুল রহমানের ছেলে আমিনুল ইসলাম ওরফে ডিপজল (২৫),খাজিম উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৪০), কৈলাসর ছেলে অমর (৩০) এবং একই এলাকার আব্দুর রহমান (৪০)।
এলাকাবাসি পুলিশ সুত্র মতে প্রথমে যুবকের সহিত ফেসবুকে মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওই শিক্ষার্থী মোবাইলে হাসানের যোগাযোগ হয়। গত এক বছর ধরে ওই কিশোরী তার মামার বাড়িতে যাওয়া-আসার কারনে যুবক হাসানের সঙ্গে দেখা হতো৷ এক পর্যায়ে হাসানের সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সে৷ পরে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় ওই কিশোরী বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। এসময় ওই কিশোরীকে বিয়ে করবে বলে মোবাইলে ডেকে তেঁতুলিয়া থেকে নিয়ে যায় হাসান । জেলা পঞ্চগড় বিকেলে পঞ্চগড় পৌঁছালে কাজী অফিসে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাত আটটার দিকে আটোয়ারী উপজেলার পুরাতন আটোয়ারী এলাকার বন্দরপাড়া গ্রামে সড়কের পাশে চা বাগানে নিয়ে যায় ৷
সেখানে পালাক্রমে প্রথমে প্রেমিক হাসান ও তার বন্ধু সবুজ কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ধামোর ইউনিয়নের আরও কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে হাসান ও সবুজ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। একা পেয়ে ওই কিশোরীকে তারাও আরো গনধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। উদ্ধার করেন মান্নান নামে এক পথচারী কিশোরীকে গভীর রাতে অসুস্থ অবস্থায় দেখে তাকে উদ্ধার করে বন্দর পাড়া গ্রামের নায়েব আলীর বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে কিশোরী নায়েব আলীকে সব ঘটনা খুলে বললে তার খালুকে খবর দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কিশোরীর খালু ভোররাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে আটোয়ারী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরী বাবা। পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের অভিযান শুরু হয়েছে৷ এরমধ্যে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযান শেষে থানায় মামলা দায়ের করা হবে।