পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড়ে তেতুলিয়া উপজেলা পাথর লোড-আনলোড শ্রমিকদের নতুন মজুরি মুল্য বৃদ্ধি ৩ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ হলকক্ষে শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ফলে তিন দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাত ১২টার সচল হয়েছে পাথর-বালু লোড-আনলোডের সকল কার্যক্রম।
জানা গেছে, বৈঠকে শ্রমিক নেতারা লোড-আনলোডে সাড়ে ৫ টাকা দাবি জানালে ব্যবসায়ীরা ৩ টাকা ৯০ পয়সা দিতে সম্মত হন। বালু লোড হিসেবে পূর্বের রেটের সঙ্গে ১০০ টাকা যুক্ত করে ১৮০০ টাকা করা হয়। বালু লোডে পূর্বের রেট ছিল ১৭০০ টাকা। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) থেকে আগামী তিন বছরের জন্য নতুন এ চুক্তি বলবৎ থাকবে।
এ সময়ে উপজেলা পরিষদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু, আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী মন্ডল, জেলা পাথর-বালু যৌথ ফেডারেশনের সভাপতি হাসিবুল হক প্রধান, ২৬৪’র শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী, ২০০০’র শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন, তেঁতুলিয়া উপজেলা পাথর-বালু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান (মাস্টার), সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর রশিদ লিটন, বাংলাবান্ধা লোড ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা নাজিরুল ইসলাম, তিরনইহাটের মানিক মিয়া, তেঁতুলিয়ার রঞ্জু মাসুদসহ সংশ্লিষ্ঠ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জেলা পরিষদ প্রশাসক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, জেলার পাথর-বালু লোড-আনলোড শ্রমিকরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি করলে ব্যবসায়ীরা তা না মানলে উভয়ের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীরা পাথর-বালু বেচাকেনা বন্ধ করে দিলে বেকার হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। উভয়ের মধ্যকার সমস্যা নিরসনে আজকের আলোচনা সভা। এতে ব্যবসায়ীরা প্রতি সিএফটি পাথর লোড-আনলোডে ৩ টাকা ৯০ পয়সা দিতে সম্মত হওয়ায় আমরা সমস্যা নিরসন করতে পেরেছি। বালু লোড-আনলোডে পূর্বের ১৭০০ টাকার সঙ্গে ১০০ টাকা যুক্ত করে ১৮০০ টাকা করা হয়েছে। আর পূর্বের নিয়মনীতি বহাল থাকবে। মঙ্গলবার থেকে এটা কার্যকর হবে।