রৌমারীতে প্যাসিফিক সোলার কোম্পানীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

মাসুদ পারভেজ, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের রৌমারীতে প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ কোম্পানী বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৮জানুয়ারি) সকালে দিকে বকবান্ধা হাইস্কুল এন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বকবান্ধা এলাকার হতদরিদ্র ভ‚ক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসিসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্বারকলিপি দেন ভুক্তভোগী পরিবার।

মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, গত ২০১৫ সালে প্যাসিফিক কোম্পানী সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিতের লক্ষ্যে কিস্তিতে ব্যাটারীসহ সোলার প্যানেল বরাদ্দের জন্য উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা গ্রামে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল গঠন করেন। দল গঠনের পর প্রত্যেকের নিকট হতে জামানত হিসেবে ৫ হাজার টাকা জমা নেন। প্রতিটি সোলার ১৫০ ওয়াড, ৮০ ওযার্ড, ৬৫ ওয়ার্ড ও ১০০ ওয়ার্ডের বিভিন্ন দামের সোলার কোম্পানী চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ২শ টাকা কিস্তি হিসাবে ৩৬ মাসে পরিশোধ করতে হবে শর্ত আরোপ করেন। উভয় পক্ষ চুক্তি মেনে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি মোতাবেক প্রত্যেক সদস্য মাসিক কিস্তি হিসাবে ওই সোলার কোম্পানী তাদের কর্মীদের হাতে প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লিঃ রিসিভ এর মাধ্যমে কিস্তির টাকা প্রদান করে আসছিল।

বকবান্ধা গ্রুপে কিস্তি আদায় করে প্যাসিফিক সোলার কোম্পানীর কর্মী নজরুল ইসলাম, মোঃ শাহানুর, মোঃ বাবু মিয়া, মোঃ শাহাজাহানসহ ৪ জন মিলে সদস্যদের নিকট হতে ৮ কিস্তি আবার কারো নিকট হতে ১৬ কিস্তির প্রায় ৩০ জনের আনুমানিক প্রায় ৬ লাখ টাকা আদায় করেন। কিস্তি আদায়ের এক পর্যায়ে সোলার কোম্পানী লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে কোন কর্মী কিস্তি আদায় করতে না আসায় তারা কিস্তি দেননি বলে জানান।

এদিকে গত ১৪ নভেম্বর ২২ইং রৌমারী সোনালী ব্যাংক কতৃক সোলার গ্রহীতা সদস্যদেরকে সোলারের সমুদয় টাকা ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার নোটিশ প্রদান ও পরিশোধে ব্যার্থ হইলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলা হয়। সোনালী ব্যাংকের এমন চিঠিতে ভ‚ক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

এ ব্যাপারে ভ‚ক্তভোগী কবিতা খাতুন, দুলাল মিয়া, নুরেজা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ, ২০১৫ সালে কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য প্যাসিফিক কোম্পানীর নিকট কিস্তিতে সোলার দেওয়ার জন্য গ্রামে আসে এবং আমাদের সাথে মিটিং করে। পরে ১২ শত টাকায় মাসিক কিস্তি হিসাবে ৩৬ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার লক্ষ্যে ৩০ জনের মধ্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করেন। এদিকে প্রায় ১ বছর ব্যাপি কিস্তি উত্তোলনের পর প্রায় ৭ বছর কিস্তি উত্তোলন বন্ধ থাকে। কিস্তি আদায়ের নামে ভুক্তভোগী পরিবারদেরকে হয়রানির করার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে রৌমারী সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মোঃ কামরুল হাসান মিঠু বলেন, প্যাসিফিক এনজিও সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উপকার ভোগীদের সোলার কিনে দিয়েছে। কিস্তি পরিশোধের নিয়ম সোনালী ব্যাংকে ।