
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিউটিভ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আইনের বলে ভ্রাম্যমান আদালতে অবৈধভাবে ইস্কুভেটর (ভেকু) দিয়ে বালু উত্তোলনে মালিককে জরিমানা করার প্রতিবাদে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে ভেকু মালিক সমিতি। গত রবিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় উপজেলা চত্বরে ইস্কুভেটর (ভেকু) মালিক সমিতির আয়োজনে এ মানববন্ধন করা হয়। পরে রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, ভেকু মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, বাবু মিয়া ও সোলাইমানসহ আরও অনেকেই। বক্তব্যে বলেন, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) এবিএম সারোয়ার রাব্বী যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে নষ্ট ভেকু, জমি সমান করণ , রাস্তার মাটি কাটার ভেকুগুলোর কাছে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রথমে ড্রাইভারদের আটক করে তাদের মাধ্যমে মালিককে ডেকে নিয়ে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা না দিলে জেলে পাঠানো হুমকিসহ নানা প্রকার ভয়ভীতি দেখান।
উল্লেখ্য যে, গত শনিবার বিকাল ৪ টায় ধনারচর চরের গ্রাম নামকস্থানে মানুষের বাড়ি ভিটা মাটিকাটার সময় শাকিল নামের এক ড্রাইভারকে আটক করেন। পরে তার মোবাইল ফোনে গাড়ির মালিক সোলায়মানকে
ডেকে নিয়ে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করা কথা হলেও, টাকা দিতে দেরি হওয়ায় ওই ভেকুর দুটি ব্যাটারি খুলে নিয়ে আসেন এমন অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা। অবস্থার বেগতিক দেখে দুই ঘন্টা পর যাদুরচর ইউপি
চেয়ারম্যান শরবেশ আলীর মধ্যস্তায় দুই লক্ষ টাকার স্থলে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করে ভেকুর মালিক সোলায়মান কে ছেড়ে দেন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোযার রাব্বি (ভারঃ) বলেন, তারা দীর্ঘদিন থেকে ফসলি জমি, নদী ও রাস্তা কেটে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবসা করে আসছিল। এতে পরিবেশের পাশাপাশি জনসাধারনসহ সামনে বন্যা মৌসুমে নদী ভাঙ্গনে এলাকার মানুষের ক্ষতি হবে। এক সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্তলে গিয়ে আইনের নীতিমালা অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে জরিমানার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এবিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইমান আলী ইমন বলেন, ভেকু দিয়ে মাটি কাটা কালিন সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভেকু মালিকের ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে আমার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে এবিষয়ে কথা বলে সকলে মিলে বসে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারঃ) ভেকুদিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে জরিমানা করায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম সাইদুল আরীফের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে আমারা যথাসময়ে নজরদারিতে রয়েছি এবং জরিমানা করা হচ্ছে। আরো সোচ্চার হওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ অভিযান নিয়মিত চলবে। তবে এলাকাবাসীকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সোচ্চার হওয়া দরকার। কারন বন্যা আসলেই নদী ভাঙ্গনে মানুষ ক্ষতির সম্মুখিন হতে হয়।