চট্টগ্রাম হজ্ব পালন করতে গিয়ে দেড় মাস সৌদি আরবে অবস্থানকালীন অবস্থায় বিএনপি নেতারা গায়েবি মামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। এছাড়াও দক্ষিন জেলার লোহাগাড়া, পটিয়া, বোয়ালখালী, চন্দনাইশ ও বাঁশখালী থানায় বিএনপির প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ জন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান লিখিত বক্তব্যে এসব অভিযোগ জানান।
তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মামলায় বাদী হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। গত ২২ জুলাই লোহাগাড়া থানায়, ২৮ জুলাই চন্দনাইশ থানায়, ১৬ জুলাই পটিয়া থানায়, ২০ জুলাই বাঁশখালী থানায় এবং ১ আগস্ট বোয়ালখালী থানায় এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আবু সুফিয়ান বলেন, গত ১৬ জুলাই থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ১৬ দিনে লোহাগাড়া, পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের আসামি করে পাঁচটি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসময় দায়ের করা গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা না হলে থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।এছাড়াও যেসব পুলিশের সদস্য এতে জড়িত, তাদেরও তালিকা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রত্যেকটি মামলায় বিস্ফোরক আইনের ধারা উল্লেখ করা হয়েছে , যাতে করে মামলাগুলো কঠিন হয় । তিনি জানান মামলায় উল্লেখ করা ঘটনার সময় ওইসব এলাকায় কোন প্রকার জমায়েত, মিছিল-সমাবেশ বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এসব শুধুমাত্র আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে করা হচ্ছে ।
সংবাদ সম্মেলনে সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে বিএনপি নেতা কর্মীদের এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে দমনপীড়ন চালাচ্ছে। এই সরকার পুরোনো কায়দায় নতুন করে সারাদেশে মিথ্যা এবং গায়েবী মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের আন্দোলন থেকে দূরে সরানোর পাঁয়তারা করছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, সদস্য এস এম মামুন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, মোশারফ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মন্জুর আলম তালুকদার প্রমুখ।