
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের কামারগাও, নন্দীপাড়া গ্রাম সংলগ্ন গামাইর নদীর ব্রীজ নির্মাণে ৫২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বরাদ্দের ব্রীজটি এক যোগ ধরে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে,অথচ দুই পাশে কোন সংযোগ সড়ক নাই। ১৪/১৫ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৩৫ লক্ষ টাকা,, ২০/২১ অর্থ বছরের টিআর প্রকল্পের বরাদ্দ ১৩ লক্ষ টাকা, অতি দরিদ্র কর্মসূচির বরাদ্দ ৩ লক্ষ টাকা , চলতি বছরের বরাদ্দ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, বরাদ্দের কাজ না করেই লুটপাট, নেই কোন তদারকি কতৃপক্ষ নীরব ।
সংযোগ সড়কের অভাবে অকেজো সেতুটি জনদুর্ভোগে পরিনতি হয়েছে সেই সাথে, কোমল মতি ছাত্র ছাত্রী যাতায়াতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জানা যায়, বার বার সরকারি বরাদ্দ আসার পরেও কাজ না করে টাকা উঠিয়ে আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে । সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওয়াসিল আহমেদ চলতি অর্থ বছরের টি আর প্রকল্প পি আই সি হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ এনে কাজ না করেই টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে । নির্মাণের ১০ বছর পরও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষের। ১২ বছর আগে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে ব্রিজের ওপর দিয়ে কোনো ধরনের যান চলাচল করতে পারে না,এমনকি নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধরা ঝুঁকি নিয়ে ব্রীজের নিচ দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে । কামারগাও, নন্দীপাড়া কলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিনিধিকে জানায়,১২ বছর আগে ব্রিজটি নির্মাণ করলেও জনগণের কোনো উপকারে আসছে না। অবিলম্বে সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে মানুষের চলাচল উপযোগী করার জন্য কতৃপক্ষের নজরদারি খুবই জরুরি। স্থানীয় মাতব্বর মন্জুলাল তালুকদার জানান, ব্রিজটি নির্মাণের আগে নন্দীপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা কলাপাড়া গ্রামের মাঠের ভিতর দিয়ে সোজা পথে কামারগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু ব্রিজ নির্মাণের কারণে বিকল্প পথে যাতায়াত করায় শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। পাশাপাশি এলাকাবাসীকেও ব্রিজটির কারণে একই ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষার মৌসুমে এই দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে।নদীর পাড় সংলগ্ন শত শত কৃষকের ফসল এ রাস্তা দিয়ে ঘরে তুলতে হয়।স্থানীয় কামারগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পিংকু তালুকদার জানান, আমাদের স্কুলের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সংযোগ সড়কের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা অনেক কষ্ট করে স্কুলে আসে।
উপজেলার চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রভাকর তালুকদার পান্না জানান, জনগণের জন্য ব্রিজটি নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় মানুষ সুফল পাচ্ছেন না।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উক্ত কামারগাও ও নন্দীপাড়া গ্রামের সীমান্তবর্তী এলাকায় ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। রাস্তাবিহীন এবং চলাচল অনুপযোগী এই ব্রিজ নির্মাণ করায় একদিকে সরকারের অর্থ অপচয় হয়েছে। অপরদিকে এলাকাবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।