
হাটহাজারীতে দ্বিতীয় দফায় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২১মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে।
এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আলহাজ্ব ইউনুস গনি চৌধুরী আনারস প্রতীক নিয়ে ৩৫ হাজার ৯৭৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ ভোট। উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম রাশেদুল আলম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪৮৮ ভোট।
এছাড়া সবাইকে চমকে দিয়ে রেকর্ডপরিমান ৩৮ হাজার ৮৮৫ ভোট পেয়ে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন হাটহাজারীর ফকিরহাট ইউনাইটেড অর্গানাইজেশনের প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আশরাফ উদ্দীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উত্তর জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ খালেদ চৌধুরী (বৈদ্যুতিক বাল্ব) পেয়েছেন ২৫ হাজার ১২৩ ভোট। অশোক কুমার নাথ (তালা) পেয়েছেন ২১ হাজার ৮২৯ ভোট এবং নুরুল আবছার (চশমা) পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৮ ভোট।
অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফুটবল প্রতীকের সাজেদা বেগম ৩০ হাজার ৭১৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রজাপতি প্রতীকের বিবি ফাতেমা শিল্পী পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬২৭, হাঁস প্রতীকের শারমীন আক্তার পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৪৭ এবং কলস প্রতীকের মোক্তার বেগম মুক্তা পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪২ ভোট।
তবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকের বিবি ফাতেমা শিল্পীকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও ঘোষণার ঘন্টাখানিক পর ফুটবল প্রতীকের সাজেদা বেগমকে বিজয়ী ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ.বি.এম মশিউজ্জামান। জানতে চাইলে তিনি গণনায় ভুল হয়েছিল বলে জানান সাংবাদিকদের। তবে এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে। অপরদিকে বিজয়ী প্রার্থীর নাম পরিবর্তন করায় প্রজাপতি প্রার্থীর সমর্থকরা প্রতিবাদ জানাতে চাইলে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
ফলাফল ঘোষণা করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার এবিএম মশিউজ্জামান।