
রৌমারী (কুড়িগ্রাম): প্রতিনিধি রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নে ঝগড়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের দেয়াল ভাঙ্গতে গিয়ে এক শ্রমীকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারী বুধবার সকাল ৮ ঘটিকায় ঝগড়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী বসে নিহতে পরিবারের ভবিষ্যত চিন্তা নিয়ে একটি আর্থিক সহযোগীতায় সমাধান করে লাশ দাফন করার কার্যক্রম করেন। এ বিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দাঁতভাঙ্গা ঝগড়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের দেয়াল ভেঙ্গে ফেলার জন্য প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত আজিবর রহমানের ছেলে আবু হানিফসহ ৪ জন শ্রমীক কাজ করতেছিলেন। এমতাবস্থায় হঠাৎ একপাশের দেয়াল আবু হানিফ (৩২) নামের ওই ব্যক্তির শরীরের উপর ভেঙ্গে পড়ে। এলাকাবাসী ভেঙ্গে পড়া দেয়ালের চাপা সরে দিয়ে হানিফকে উদ্ধার করলে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যায় এবং ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির তিন সন্তান ও স্ত্রী ইসমোতারা মৃত্যর ঘটনা দেখে ভেঙ্গে পড়েন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামছুল হকের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। , নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ইসমোতারা বলেন, আমার গরীব সংসারে ছোট ছোট তিন সন্তান নিয়ে ভবিষ্যত অন্ধকারে থাকবো কিভাবে। নিহত ব্যক্তির সমাধানে এলাকাবাসীর পক্ষের দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও অধ্যক্ষ ছামিউল ইসলাম জীবন বলেন, প্রতিষ্ঠানের পুরাতন বভনের দেয়াল ভাঙ্গতে নিহত হানিফের উপরে পরে ঘটনা স্থলেই মৃতু বরণ করেন। এটা একটা দুর্ঘটনা। পরে এলাকাবাসী মিলে গরীব ও ৩ সন্তান ১ স্ত্রী রেখে যাওয়া চলার মতো কিছু আর্থিক সহযোগীতা দিয়ে মিমাংশা করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি কুড়িগ্রামে আছি। তবে শুনেছি দেয়াল ভেঙ্গে হানিফ নামের এক ব্যক্তি মারা গেছে। এলাকাবাসীকে বলেছি গরীব মানুষ হিসাবে একটি সমাধান করে দিয়েন। রৌমারী থানা অফিসার ইনচাজ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এটা একটি দুর্ঘটনা । তবে এব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।