সুবর্ণচরে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও সংযোগ স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ নোয়াখালী সুবর্ণচরে অনুমতি না নিয়ে জায়গা দখল করে বৈদ্যুতিক খুটি নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর উপজেলা ৩নং চর ক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর গ্রামের ইমাম উদ্দিন তুহিনের বাড়ীতে। কেরামতপুর গ্রামের শিহাব উদ্দিনের পুত্র বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সহকারি মোঃ ইমাম উদ্দিন তুহিন অভিযোগ করে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের সুবর্ণচর জোনাল অফিসের কিছু অসাধু কর্তকর্তা কর্মচারী অবৈধ ঘুষ লেনদেন এর মাধ্যমে ২০১৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কেরামতপুর গ্রামের এতিম আলী চৌধুরী স্ত্রীর আমেনা খাতুন এর মালিকানাধীন ভুমিতে একই গ্রামের প্রতিবেশী মাওলাদের বাড়ীর কামাল উদ্দিনের পুত্র নজরুল ইসলামকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আমেনা খাতুনের ভূমির ওপর দিয়ে এসটিডবিøও লাইন স্থাপন করে। লাইন স্থাপনের সময় আমেনা বেগমেকে থেকে কোন প্রকার লিখিতভাবে অবহিত করা হয়নি অনুমতি চান নি এবং নেননি। সুবিধাভাগী নজরুল ইসলামের জায়গা থাকলেও তাদের নিজেদের জায়গা বাঁচাতে লাইন নির্মাণে জড়িত অসাধু কর্তকর্তা কর্মচারী অবৈধ ঘুষ বিনিজ্যের মাধ্যমে আমেনা বেগমের অগোচরে বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন করেন এতে আমেনা বেগমের প্রায় ৮/১০ ডিং জায়গা অকেজো হয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যতে বাড়ী ঘর নির্মাণে ঝুঁকি রয়েছে।

২০২০ সালে ৪ নভেম্বর ইমাম উদ্দিন তুহিন আমেনা বেগম থেকে ৬০ ডিং জায়গা খরিদ করেন এবং তিনি একটি বসতঘর নির্মাণ করেন, বর্তমানে বৈদ্যুতিক তার ঘরের চালের ওপর হওয়ায় ঝুঁকির আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং ৮/১০ ডিসিমেল জায়গা পুরো অকেজো হয়ে পড়ে যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। ইমাম উদ্দিন তুহিন লাইনটি অপসারণ করে সুবিধাভোগী নজরুলের জায়গার ওপর স্থাপনের দাবী জানিয়ে একটি দরখাস্ত করেন। দরখাস্ত পেয়ে সুবর্ণচর জোনাল অফিস লাইন অপসারণ খরচ বাবদ ৭৫ হাজার ৫ শত টাকা দাবী জানান, যাহা বিদ্যুতের খুঁটি নির্মাণ বর্হিভূত বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী ইমাম উদ্দিন তুহিন। গতকাল সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ইমাম উদ্দিন তুহিনের বাড়ীর একাংশ ঘেষে প্রতিবেশী নজরুল ইসলামের বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে, নজরুল ইসলামের নিজস্ব জায়গা থাকলেও সেখানে খুটি স্থাপন করা হয়নি। জমির পূর্বের মালিক আমেনা বেগমের বড় ছেলে অভিযোগ করে বলেন “২০১৭ সালে লাইন নির্মাণের সময় আমাদের অনুমতি নেয়া হয়নি, স্থাপনের সময় আমরা বাঁধা দিলেও তারা আমাদের কথা শুনেননি। তারা প্রতিপক্ষ থেকে টাকা খেয়ে আমাদের জায়গা দখল করে লাইন নির্মাণ করেছে, আমরা এর বিচার চাই এবং লাইনটি অপসারণ করে নজরুল এর জায়গায় স্থাপনের দাবী জানাই। ৭৫ হাজার টাকা দাবী আইন সম্মত নয় দাবী করে তুহিন পূনরায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর মাধ্যমে এটি লিগাল নোটিশ প্রেরণ করেন। অভিযুক্ত নজরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন “খুটি স্থাপনের সময় আমরা ছিলাম না, বিদ্যুৎ অফিস যেভাবে সুবিধা মনে করছে সেভাবে নিছে, আমাদেরকে জানাইনি”। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুত সুবর্ণচর জোনাল অফিসের ডিজিএম ফসিউল আলম বলেন,”লাইন নির্মাণের সময় আমি ছিলাম না, তখন অন্য অফিসার ছিলো, তুহিন আমাদেরকে কাছে দরখাস্ত করেছে করেছে আমরা সেটার জবাব দিয়েছি, লাইনটি নির্মাণ করা হয়েছে ২০১৭ সালে, তুহিন জায়গা ক্রয় করেছে ২০২০ সালে। খুঁটি নির্মাণের সময় তাদের কাছ থেকে অনুমতি নেয়া হয়েছে বলেও দাবী করেন ডিজিএম ফসিউল আলম। জায়গা ক্রয় যখনই করুক সুবিধাভোগীর জায়গা থাকাবস্থায় অনুমতি ছাড়া অন্যের জায়গায় লাইন নির্মাণ করে তার জমির ক্ষতি করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদউত্তর দিতে পারেননি।