
ফারহান সিদ্দিক, সীতাকুণ্ড: সীতাকুণ্ড সমুদ্র উপকূলে সৈয়দপুর থেকে উত্তর ভাটেরখিলপর্যন্ত দীর্ঘ চল্লিশ একরে মোট চারটি মাউন্টেনবন সৃজন করে উপকূলীয় বন বিভাগ সীতাকুণ্ড। এতে রেন্টি, আকাশমনি, মেহগনি ও অজ্জুন সহ মোট ২২ হাজার ৫০০ শত গাছ লাগানো হয়।নামে মাউন্টেনবন হলেও সরজমিনে দেখাযায় বনের কোনঅস্তিত্ব নেই, শুধু সারি সারি মরুভূমির মতো মাউন্টেনের দেখামিলে। উপকূলীয় নদী ভাঙ্গন ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে মূলত সরকার প্রাইলট আকারে উপকূলীয় কিছু অংশে এই মাউন্টেন বন সৃজনের উদ্যোগ নেই কিন্তু পরিবেশের সাথে অনুকূল না থাকায় এই বন সৃজনে সুফল মিলছেনা। নব্বইয়ের দশকে শেষের দিকে সরকার উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক আকারে ম্যানগ্রোভ বন সৃজনে সক্ষম হলেও পরবতর্তীতে নতুন করে আর কোন বন তৈরি হয়নি। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দক্ষিণ ত্রশিয়া সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশর । তাই সরকার জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বেশে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মূলত সমুদ্র উপকূলে এই মাউন্টেন বন তারি একটি অংশ। যেহেতু সমুদ্র উপকূলে জোয়ারের পানি ও তীব্রশ্রোতে এখানে স্বাভাবিক ভাবে বৃক্ষরোপণ অনউপযোগী হাওয়াই মাঠি দিয়ে কৃত্তিম মাউন্ট তৈরি করে তার উপর বনায়ন করার পরিকল্পনা করে। গত বছর জুন মাসে এই বনায়ন করেন কিন্তুু তীব্র সোত, লবানক্ত পানি , হরিণের বিচরন এবং এলাকাবাসীর গো-মৌষাদি চারণে রক্ষা করা যাইনি রোপণকৃত চারাগাছ। ফলে সরকারের প্রায় অর্ধকোটি টাকার এই প্রকল্প ভেস্তে যাওয়ার পথে। যানা যাই রেন্টি, মেহগনি, আকাশমনি, নীম,অজ্জুন এই প্রজাতির গাছগুলো মূলত সমতল ভূমি বা দোঁয়াস মাঠির জন্য উপযোগী কিন্তুু উপকূলীয় অঞ্চলের বেলে মাঠি ও লবণাক্ত পানি, প্রকৃতির অনুকূলে না থাকার কারণে অনেকগাছ মারা যাই। এই বিষয়ে যানতে চাইলে উপকূলীয় বন বিভাগীয় ভাটেরখিল বিট কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন এইপর্যন্ত তিনবার চারা রোপণ করেত্ত তেমন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। মূলত লবানক্ততার কারণের এমনটা হওয়ার আশঙ্কা করছি। প্রায় দুই তৃতীয়াংশের ও বেশি চারা নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে আবার বছরের জুন মাসে পূর্ণরোপণ করা হবে তার জন্য আমরা ইতিমধ্যে চারা নার্সিং করছি।তবে এবার লবণাক্ত পানি ধারণ করে ঠিকে থাকতে পারে এমন বৃক্ষ যেমন কেউড়া ও ঝাউগাছ লাগানো হবে। এই বিষয়ে সীতাকুণ্ড ভারপ্রাপ্ত উপকূলীয় রেন্জ কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে বেশ কয়েকবার মঠোফোনে চেষ্টা করার পর সাংবাদিক পরিচয় দিলে মিটিং এ আছে বলে তিনি কল কেটে দেন। উপজেলা উপকূলীয় বন বিভাগ অধিদপ্তরে গেলেও খোজ মিলেনি তাঁর।