
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী (৫০)কে চাইনিজ কুড়ালে হত্যার চেষ্টা করেছে চাচাতো ভাই তারা মিয়া (৪৪)। গতকাল রবিবার সকাল ৬ টায় উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সায়দাবাদ গ্রামে চেয়ারম্যানের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সরবেশ আলী সায়দাবাদ গ্রামের মৃত সাগর আলী দেওয়ানীর ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬ টার দিকে তারা মিয়া সরবেশ আলী চেয়ারম্যানকে
নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ডেকে উঠায়। ঘুম ভেঙ্গে দেখে তারা মিয়া। চেয়ারম্যান বলে, কি কথা। পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে দরজার ছিকল দিয়ে বলে আপনার সাথে কিছু জমির বিষয়ে কথা রয়েছে। পরে বলে আমার জমি আমাকে দিবে কি না। এ কথার এক পর্যায়ে তারার ব্যাগ থেকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সরবেশকে হত্যার চেষ্টা করলে তৎক্ষনাত চেয়ারম্যান হাত দিয়ে আটক করে রক্ষা পায়। তাদের চিৎকারে আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন ছুটে এসে তারা মিয়াকে আটক
করে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে আটককৃত ব্যাক্তিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। বর্তমানে চেয়ারম্যান রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দরজার ছিকল দেয়। এ অবস্থায় আমাকে হত্যার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে চাইনিজ কুড়ালটা ধরি এবং ছিনিয়ে নেই। এ সময় আমার বাম হাতে কেটে যায়। আমার চিৎকার শুনে আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে তাকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে আটককৃত তারা মিয়াকে সোপর্দ করেন।
অভিযুক্ত তারা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যানের সাথে আমার পৈত্রিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সেটার সুরাহার উদ্দ্যেশ্যে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই। কিন্তু আমার হাতে চাকু দেখে চেয়ারম্যান ভয় পান। এ সময় তিনি চাকু ধরার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার এবং আমার হাত কেটে যায়। আমাদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে
আমাকে আটক করে পুলিশের হতে তুলে দেয়। অফিসার ইনচার্জ ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, সরবেশ আলী চেয়ারম্যান বাদী হয়ে একটি হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দিয়েছেন। আসামিকে জনগণের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে আসামী শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য থাকায় রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সুস্থ হলেই কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হবে।