
প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে খাদ্যপণ্যের কোনো সঙ্কট নেই, যারা কৃত্রিমভাবে খাদ্য পণ্যের সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বিএনপি মাঠে কর্মসূচি দিয়েছে দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে, আর অসাধু ব্যবসায়ীদের তারা বাতাস দিচ্ছে যাতে করে পণ্যের মূল্যটা বাড়ায়, দেশে যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে।’ বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমন্যাসিয়াম মাঠে বই মেলার সমাপনী, একুশে স্মারক সম্মাননা ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ১৯ দিনব্যাপী বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. মুমিনুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন বই মেলা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু।
যে সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যমূল্য বাড়াচ্ছে, তারা যেমন দেশবিরোধী কাজ করছে, একইসাথে বিএনপিও দেশবিরোধী কাজ করছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিচ্ছে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর জন্য। সেবিষয়ে আমরা নজর রাখছি, সরকার এই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপ আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে কোনো অনুষ্ঠান-পার্বণের আগে পণ্যের মূল্য কমিয়ে দেয়া হয়। আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা রমজান, ঈদ, পূজা-পার্বণ এলে দেখা যায় পণ্যমূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করে। এটা প্রচণ্ড অসততা এবং জনগণের সাথে প্রতারণা। যারা এই জনবিরোধী কাজ করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বলছেন সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নয়া পল্টনের অফিসে বসে গত ১৩ বছর ধরেই আমাদের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের ঘণ্টায় মানুষ সাড়া দেয় নাই। ১৩ বছর ধরেই এই বিদায় ঘণ্টার মধ্যেই আছি আমরা। আরো কত বছর তাদের এই বিদায় ঘণ্টা বাজাতে হয় সেটি জনগণ ঠিক করবে। তাদের ঘণ্টা বাজানোর মধ্যেই আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেবে। যারা বিভ্রান্তির চেষ্টা চালায়, তাদের চিহ্নিত করুন, তাদের বর্জন করুন।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এখন মানুষ আগের মত বই পড়ে না, তার একটি কারণ মানুষের অবসর কমে গেছে। অনেকে অর্থের পেছনে আবার অনেকে জীবনযুদ্ধে চিরন্তন ছুটে চলছে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ যে অবসর সময়টুকু পায়, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম মানুষের কাছ থেকে সেটুকুও কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু মানুষের মননশীলতা বিকাশে বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের সুকোমল বৃৃত্তিগুলো বিকশিত করতে কিংবা জীবনকে পাল্টে দেয়ার ক্ষেত্রেও একটি বই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। শিশু-কিশোরদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা একইসাথে সঠিক বই পড়তে দেয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।