জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরার অপরাধে ধর্মপাশায় পৃথক মেয়াদে দুই জনের কারাদন্ড

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে ইজারা কৃত বিভিন্ন জলমহাল শ্যালু মেশিন দিয়ে শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার হিড়িক উঠেছে। এদিকে অবৈধভাবে জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা ঠেকাতে এরই মধ্যে উপজেলা প্রশাসন জোরেশোরে অভিযান শুরু করেছেন। এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে ও সন্ধ্যায় পৃথক দুইটি জলমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে জলমহাল শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরার দায়ে দুই ব্যক্তিকে পৃথক পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার শাসকা বিল নামক জলমহালে অভিযান চালিয়ে মবিন মিয়া (৪০) নামে ওই জলমহালের মালিককে আটক করে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান।

একই দিন দুপুরে উপজেলার পাশুয়া নামক জলমহালের আওতাধীনে থাকা একটি ডোবা শুকিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরছিল। এমন অভিযোগে ওই জলমহালে পৃথক অভিযান চালিয়ে মোহাম্মাদ আলী(২৪) নামে এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ভাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও উপজেলা সহকারি কমিশনার( ভুমি) মো. রেদুয়ানুল হালিম। দন্ডিত মবিন মিয়ার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলি- বানিয়াহারী ইউনিয়নের সুখদেবপুর গ্রামে ও দন্ডিত মোহাম্মাদ আলীর বাড়ি উপজেলার সরস্বতীপুর গ্রামে। ইউএনও মুনতাসির হাসান বলেন, জলমহাল, বিল, ডোবা, খাল, নদ-নদী ও জলাশয়ের পানি সেচে তলা শুকিয়ে মাছ শিকার করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এভাবে পানি সেচে মাছ শিকার বন্ধে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।