
রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের নোম্যান্স ল্যান্ডে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র এক সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এসময় চোরাকারবারিরা বিএসএফ’র কাছ থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশের ভন্দুরচর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে অবৈধ
পথে গরু নামানোর সময় চোরাকারবারিরা ওই ঘটনা ঘটায়। গুরুতর আহত ওই বিএসএফ সদস্যকে ধুবরী জেলার একটা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। ঘটনার
পর সীমান্তের ওপারে অতিরিক্ত বিএসএফ’র তৎপরতা দেখা গেছে। এতে সীমান্ত ঘেষা বাংলাদেশিদের মাঝে এক ধরণের আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। ওই ঘটনা পর বিএসএফ’র আহবানে ওই দিন সন্ধা ৬টার দিকে উপজেলার নতুন বন্দর সীমান্তে জরুরী এক পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএসএফ ও বিজিবির কোম্পানী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত ঘণ্টা ব্যাপি ওই পতাকা বৈঠকে বিএসএফ’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, বাংলাদেশি একটি গরু চোরাকারবারির দল বিএসএফ সদস্যের ওপর হামলা করে। রাম দাসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে আহত বিএসএফ সদস্যের কাছ থেকে গুলিভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়েছে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেয় মাইনকারচর ৪৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পক্ষে ইন্সপেক্টর বিবিসেন এবং বাংলাদেশের ৩৫ বিজিবি
ব্যাটালিয়নের পক্ষে সুবেদার আজমল হোসেন।
সীমান্তের একাধিক সূত্রে থেকে জানা গেছে, ওই দিন দুপুরে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০৬৬ এর কাছে ভন্দুরচর সীমান্তের একটা ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে গরু নামানোর সময় ভারতের সাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে। এসময় বাংলাদেশি এক চোরাকারবারিকে ধরে ভারতের ভিতরে
নেয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গীয় চোরাকারবারিরা ওই বিএসএফ সদস্যের ওপর হামলা করে। বিএসএফ’র ওই সদস্যকে কুপিয়ে চোরাকারবারিকে ছিনিয়ে নিয়ে আসেন। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোরাকারবারিরা সবাই ভন্দুরচর সীমান্তের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
রৌমারী বাংলাবাজার বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আজমল হোসেন জানান, বিএসএফ সদস্যরা অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছে। তাদের ওপর হামলার পরও তারা গুলি করেনি। যে চোরাকারবারিরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।