
ফারহান সিদ্দিক, সীতাকুণ্ড : ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় উপকরণ হিসাবে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। আজ ১৯ মে সীতাকুণ্ড উপজেলার পরিষদে জেলেদের মাঝে ২,৫০,০০০ টাকা মূল্যের ১০ টি বকনা বাছুর বিতরন করে উপজেলা মৎস্য অধিপ্তর। সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন,উৎপাদন, বৃদ্ধির জন্য সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য আগামী ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন সকল প্রকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ইলিশ আহরণকারী জেলেদের বিকল্প কর্মস্থানসৃষ্টির লক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ১০ জন জেলেকে এই উপকরণ দেওয়া হয়। মাছ চাষের পাশাপাশি বহুমুখি আয়ের উৎস তৈরি করে জেলেদের জীবনযাত্রার মানউন্নয়নে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরি এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির। বক্তব্যে চট্রগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ আলহাজ্ব দিদারুল আলম বলেন ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ ১ম এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইলিশ সম্পদ রক্ষানা-বেক্ষন করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।একটা মা ইলিশ থেকে প্রায় ২ লাখ থেকে ২০ লাখ ডিম পাওয়া যায়, জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকলে ইলিশ উৎপাদন দ্বিগুন হবে।তাই জাটকা ধরা থেকে বিরত থেকে, দেশের আমিষ যোগানে নিজেদের সর্বদা নিয়োজিত রাখবো। এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) জনাব মো: আশরাফুল আলম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম, কৃষি কর্মকর্তা মো: হাবিবুল্লা, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোছ: তাহমিনা আরজু, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুচ্ছফা, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরি,সীতাকুণ্ড পৌরসভা ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব দিদারুল আলম এ্যাপেলো, জেলে ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাশ সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
পড়েছেনঃ ১২১