
নিজস্ব প্রতিনিধি : সোমবার (৩ জানুয়ারি) কর্ণফুলী নদীর মাঝে নৌকায় ‘চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন’ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর আনুমাঝি ঘাট থেকে হালদা মোহনা পর্যন্ত নদী ও খালের মোহনা দখলমুক্ত করার দাবি জানানো হয় এ সংবাদ সম্মেলনে। এসময় বক্তারা বলেন, কর্ণফুলী নদীর কিছু কিছু অংশের অর্ধেকের বেশি ভরাট হয়ে গেছে। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি চৌধুরী ফরিদ বলেন, শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাশে নদীর মাঝ পিলার পর্যন্ত ভরাট হয়ে গেছে। ব্রিজের নিচে অর্ধেকের বেশি নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ব্রিজের তিন পিলার অংশে নদীর প্রচণ্ড স্রোত হয়। যে কারণে শাহ আমানত সেতুর দক্ষিণ পাশে ধসে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কর্ণফুলী নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে। অক্টোবর মাসে জেলা প্রশাসক বলেছিলেন এক মাসের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যকম শুরু হবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়নি। তাই সরকারি সংস্থা কর্তৃক হাইকোর্টের আদেশ না মানার বিষয়টি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে অবহিত করে আদালত অবমাননার বিষয়ে প্রতিকার প্রার্থনা করে আবেদন করা হবে।