ইপসার উদ্যোগে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৬দিন ব্যাপি পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ সম্পন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে সুখী জীবন প্রকল্প, ইপসার আয়োজনে, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় ইউএসএইড এর অর্থায়নে সিটি কর্পোরেশন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৭ নং ওয়ার্ড, বাশঁখালী উপজেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সদর ও কাউখালী উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর এবং পানছড়ি উপজেলাতে একযোগে পালিত হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা এবং প্রচার সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয়ে কর্মএলাকায় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মাঝে র‌্যালী, আলোচনা সভা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা উলে­খযোগ্য। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইপসা‘র সুখী জীবন প্রকল্পের সকল স্টাফগন এবং প্রকল্পের এলাকাভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবকগন  উপস্থিত ছিলেন। পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ অনুুষ্ঠানের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানসমূহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাশঁখালী উপজেলা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার সদর ও কাউখালী উপজেলা এবং খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার সদর এবং পানছড়ি উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারবৃন্দ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৭ নং ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর উক্ত ওয়ার্ডের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
বক্তারা বলেন, কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বর্পূণ। কিশোর-কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালীন বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সাথে খাপ-খাওয়াতে এই ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম যুগোপযোগী। এই সময় থেকেই তারা সঠিক শিক্ষা ও তথ্য লাভ করলে নিজেদের পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তুলতে সহায়ক হবে। সঠিক শিক্ষার পাশাপাশি সঠিক তথ্য লাভে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নির্ধারনে সহায়ক ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হবে। এছাড়াও শরীর ভালো রাখার জন্য পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজনীয়তা যেকারনে জরূরী তেমনই মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে আমাদের কিশোর-কিশোরীদের জীবন দক্ষতামূলক শিক্ষাও অতি প্রয়োজন। সুস্থ-সুন্দর জাতি গঠনে কিশোর-কিশোরী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক গড়ে তোলার বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহে পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহনের প্রতি সচেতনতা বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। পরিবার পরিকল্পনা সেবা গ্রহনে পরিবার ছোট রেখে সুখী সমৃদ্ধ জীবন ধারন করা সম্ভব। পবিরার পরিকল্পনা সেবা গ্রহনে প্রতিটি এলাকায় আরও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবার পরিকল্পনার স্থায়ী ও অস্থায়ী বিভিন্ন পদ্ধতিসমূহগুলো নিয়ে আরও বেশি প্রচারণায় এই সেবা গ্রহনে জনগন উৎসাহিত হবে। সুবিধামত পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহন করলে পরিকল্পিত পরিবার গঠন হবে এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ রোধ হবে। অনেক নবদম্পতি সঠিক পদ্ধতি গ্রহন করে সুখী সুন্দর পরিবার সাজাতে পারেন।
বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্য বিয়ের কারনে অনেক ছেলে-মেয়ের বিশেষত মেয়েদের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় এবং তাদের স্বপ্ন পূরন হয় না। বাল্য বিয়ে রোধ করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব। বাল্যবিয়ে আইনত দন্ডনীয় এই বার্তা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করতে পারি। মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ এবং ছেলেদের বিয়ের বয়স ২১ এই তথ্য প্রচারে আমাদের সকলেরই ভ‚মিকা রয়েছে।  মা ও শিশু ভালো থাকলে পরিবার ভালো থাকবে। সুস্থ মা সুস্থ শিশু, সুস্থ শিশু সুস্থ মানুষ, তাই মা-শিশুর স্বাস্থ্য সেবা গ্রহনে জোড় দিতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা নিই এবং সুস্থ থাকি এই হোক অঙ্গীকার।