আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব।

বাদল আহাম্মদ খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থেকে কুমিল্লার লাকসাম পর্যন্ত ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর। শনিবার সকাল সোয়া দশটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় তিনি স্টেশন এলাকায় রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন এবং কাজের বিভিন্ন অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় কসবা রেলওয়ে ষ্টেশনের নির্মাণ কাজ দীর্ঘ দিন বন্ধ রয়েছে- এ ব্যপারে জানতে চাইলে রেল সচিব বলেন, এ ব্যপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আশা করছি খুবই শিগগীরই কাজ শুরু হবে।

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পরিদর্শন করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা চালু করা হবে। রেলের উন্নয়ন কাজ শেষ হলে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনের দক্ষিণে রেল গেইট এলাকায় ৭/৮টি রেললাইন হবে। এতে রেলগেইট অতিক্রম করে রোগীদেরকে হাসপাতালে যেতে সমস্যা হবে। রেলগেইটে ফ্লাইওভার বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা হবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো হয় তাই করা হবে। প্রয়োজন হলে ফুট ওভার ব্রিজ দেওয়া হবে। আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পরিদর্শন করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা চালু করা হবে।

পরে রেল সচিব ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি কুমিল্লা হয়ে লাকসামের উদ্যেশ্যে আখাউড়া ত্যাগ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম, রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কামরুল হাসান সহ অন্যান্যরা। জানা গেছে রেলপথ মন্ত্রনালয়ের সচিব, আখাউড়া – লাকসাম পর্যন্ত চলমান ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের অংশ হিসেবে কসবা রেলওয়ে স্টেশন, সালদা নদী রেলওয়ে স্টেশন, কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনের প্রকল্প সাইট পরিদর্শন শেষে লাকসাম জংশন স্টেশন পরিদর্শন করবেন, পরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, পরামর্শক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের সাথে তার মত বিনিময় করার কথা রয়েছে।