হালদায় দ্বিতীয় বারের মতো ডিম ছেড়েছে মা মাছ

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : এশিয়ার একমাত্র মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে দ্বিতীয় বারের মতো  ডিম ছেড়েছে মা মাছ।  বৃহস্পতিবার (১৬ই জুন)রাত ১টা থেকে শুক্রবার (১৭ই জুন) রাতের  জোয়ারের সময় কার্প-জাতীয় রুই,কাতলা,মৃগেল ও কালিবাউশ মাছ  ডিম ছেড়েছে।শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হালদা নদীর   মাছুয়াঘোনা টেক,কাটাখালির মুখ ও নয়াহাট অংশ থেকে তিন  শতাধিক নৌকায় ৫শত এর অধিক ডিম সংগ্রকারী ছিলেন।নৌকা  প্রতি ২৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম ডিম সংগ্রহ করেন তারা।

ডিম সংগ্রহকারী মোঃ শফি,মোঃ হোসেন,মোঃ ইসমাইল,মোঃ  মিজান প্রতিবেদককে বলেন,আমার খুব খুশি,এবার ডিমও  পরিপক্ক।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি আকারের বৃষ্টিতে
পাহাড়ের পানি প্রবেশ করায় মা-মাছ তার পরিবেশ পেয়ে পুরোদমে ডিম  ছেড়েছে।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিদুল আলম বলেন সকাল  থেকে হালদা নদীতে অবস্থান করছি।সব কিছু পর্যবেক্ষণ  করছি।ডিমসংগ্রকারীরা বলেন ডিম আরো পাওয়া যাবে।আমাদের
সরকারি তিনটি হ্যাচারি প্রস্তুত করা হয়েছে।

পিএইচডি ডিগ্রীধারী হালদা গবেষক ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন  পরিবেশ অনুকুলে না থাকায় বিগত জোঁ গুলোতে মা মাছ লার্জ স্কেলে  ডিম ছাড়েনি। বর্তমানে হালদা নদীতে কার্প জাতীয় মা মাছের ডিম
দেওয়ার শেষ জোঁ চলছে। উল্লেখ্য গত সোমবার থেকে পূর্ণিমা শুরু  হয়ে বুধবার সন্ধায় শেষ হয়। সুতরাং বুধবার থেকে শুক্রবার মা মাছ ডিম  ছাড়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা ছিল। সেই অনুযায়ী গতকাল রাত ২টার
দিকে জোয়ারের সময় বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢল নেমে আসায়  অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হয়ে হালদার বিভিন্ন স্পনিং পয়েন্টে   কার্পজাতীয় মা মাছ ডিম ছেড়েছে।হালদার উপরের স্পনিং পয়েন্টে
নিচের অন্যান্য পয়েন্ট থেকে বেশি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে।

সুতরাং হালদায় এ শেষ জো তে সংগৃহিত ডিমের পরিমাণ আগের  তুলনায় কিছুটা বেশি ছিল তবে আশানুরূপ নয়। তাছাড়া মঙ্গলবার     রাতে হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মা মাছের বিচরন ও মাছের ডিমের
নমুনা দেখা যায়।